CPIM Deucha Panchami : নন্দীগ্রামের প্রতিশোধ নেওয়া হবে ডেউচা-পাঁচামিতে, আদিবাসীদের সঙ্গে নিয়ে গণআন্দোলনের সিদ্ধান্ত সিপিএমের 

0
395

কলকাতা : মমতার ধাঁচেই তৃণমূল সরকারের ভিত নাড়িয়ে দিতে চায় সিপিএম। বীরভূমের ডেউচা-পাঁচামি কয়লা খনিকে কেন্দ্র করে ওখানকার স্থানীয় মানুষের যে ব্যাপক ক্ষোভ রয়েছে, তা ইতিমধ্যেই বুঝতে পেরেছেন আলিমুদ্দিন স্ট্রীটের নেতারা। 

আরও পড়ুন : UP Election : মুলায়ম সিং যাদবের দুই পুত্রবধূর মধ্যে লড়াই দেখতে পারে উত্তরপ্রদেশ

- Advertisement -

বুধবার সিপিএম রাজ্য নেতৃত্ব দলের যে সব গণসংগঠন প্রস্তাবিত এই কয়লা খনি নিয়ে কাজ করছে তাদের থেকে বিস্তারিত রিপোর্ট নেয়। তাতে সিপিএম নেতৃত্ব জানতে পারে সরকারের পক্ষ থেকে যে পরিমাণ কয়লা উত্তোলনের কথা বলা হচ্ছে, তা আদৌ বাস্তবে সম্ভব নয়। সিপিএম নেতৃত্ব আশঙ্কা করছে কয়লা না পেয়ে ওই জমি শেষ পর্যন্ত আত্মসাৎ করবে আদানি গোষ্ঠী। 

আরও পড়ুন : Surjya Kanta Mishra : ডেলিভারি বয়দের দুর্দশা নিয়ে এবার সোচ্চার হলেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক

প্রসঙ্গত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে নবান্নে এসে ডেউচা-পাঁচামি কয়লা খনিতে বিনিয়োগের ইচ্ছা প্রকাশ করেন মোদী ঘনিষ্ঠ শিল্পপতি গৌতম আদানি। এরপর থেকেই বামেরা এই কয়লা খনি অঞ্চলে গিয়ে মানুষের সঙ্গে কথা বলে। সম্প্রতি সিপিএমের পক্ষ থেকে সাংসদ বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য সহ একাধিক নেতা ডেউচায় গিয়ে আদিবাসী মানুষদের সঙ্গে নিয়ে সভা করেন। সিপিএম নেতৃত্ব চাইছে সরকারের আসল পরিকল্পনা সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করতে।

আরও পড়ুন : Kiranmoy Nanda : উত্তরপ্রদেশের রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে বর্তমানে এক বঙ্গসন্তান 

ডেউচা-পাঁচামি নিয়ে আদিবাসী মানুষদের সঙ্গে করে গণআন্দোলনে নামার সিদ্ধান্ত নিল সিপিএম। এর আগেই দলের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র জানিয়েছিলেন, ডেউচা-পাঁচামির মানুষের আন্দোলনে তাদের দল অবশ্যই পাশে থাকবে। ২০০৬ সালে ২৩৫ টি আসন নিয়ে জিতে আসা সত্ত্বেও নন্দীগ্রাম আন্দোলন কার্যত ভিত নাড়িয়ে দিয়েছিল সপ্তম বামফ্রন্ট সরকারের। এবার  সেই ধাঁচেই পথে নামবে সিপিএম। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, ২০১১ সালে পরাজয়ের পর সিপিএম বিরোধী দল হিসেবে তেমন ভাবে গণআন্দোলন গড়ে তুলতে পারেনি। কিন্তু ২০২১ সালের বিধানসভায় শোচনীয় পরাজয়ের পর সিপিএম বেশ কিছু জায়গায় শাসকের বিরুদ্ধে গড়ে তুলছে প্রতিরোধ। সম্প্রতি নেতাজি নগরের বাস্তুহারা সমিতির অফিস পুনরুদ্ধার বা বিভিন্ন দলীয় অফিস পুনরুদ্ধার তার জ্বলন্ত উদাহরণ। তবে গণআন্দোলনের পথে কি সফল হবে জনগণতান্ত্রিক বিপ্লবের ডাক দেওয়া দল, উত্তর দেবে সময়।