খাস ডেস্ক: বিশ্বের নানা প্রান্তে হিংসা এবং রক্তপাত আধুনিক সভ্যতাকে ক্ষতবিক্ষত করেছে বলা যেতে পারে। ২০২২ সাল থেকে রাশিয়া বনাম ইউক্রেনের যুদ্ধ দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের পর ইউরোপে ভয়াবহ সঙ্কট সৃষ্টি করেছে। এছাড়া ২০২৩ সালে গাজা বনাম ইজরায়েলের মধ্যে সংঘাত নতুন করে রক্তপাত ঘটাচ্ছে। মহিলা এবং নাবালিকারা যৌন নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। লাগাতারভাবে ঘটছে ধর্ষণের ঘটনা।
গত ১৭ মাস ধরে সুদানও উত্তপ্ত। সুদানে গৃহযুদ্ধ চলছে সেনা বনাম আধা সেনার ভিতর ক্ষমতার লড়াইয়ের কারণে সশস্ত্র সংঘাতের ফলে। সুদানের বাসিন্দা মহিলা ও নাবালিকারা গৃহযুদ্ধ পরিস্থিতিতে লাগাতারভা্বে ধর্ষণের শিকার হচ্ছে। ১৭ মাস ধরে চলা গৃহযুদ্ধ কবে থামবে সেব্যাপারে কোনও নিশ্চয়তা নেই। নতুন করে সুদানে হিংসা বেড়েছে এবার সেনাবাহিনী আধা সামরিক বাহিনী বা আরএসএফের হাত থেকে রাজধানী খারতুমকে উদ্ধারের প্রয়াসে আসরে নামায়। আরএসএফ খারতুমের নাগরিক মহিলাদের নির্বিচারে ধর্ষণ করছে বলে অভিযোগ।
সূত্রের খবর, নদীতীরে অবস্থিত শহর ওমডারবানের দখল নিয়েছে সেনা। ওমডারবানে খাদ্যপণ্যের দাম এখন আকাশচুম্বী। নাগরিকরা দূরদূরান্ত থেকে সস্তার খাবার কিনতে চলেছেন। আরএসএফের অত্যাচার নিয়ে স্মৃতিচারণ করে এক তরুণী বিধবা বললেন, আমার স্বামীকে বেধড়ক মারধর করে আটকে রেখেছিল আরএসএফ জওয়ানরা। সেনা এলাকার দখল নিলেও সবচেয়ে বড় সমস্যা এখন খিদে। সস্তায় খাবার চাই আমরা। কেননা ছেলেমেয়েরা ঘরে ঘরে খিদেয় কাতর।
রাষ্ট্রসঙ্ঘের দেওয়া তথ্য-পরিসংখ্যান অনুসারে, ১৭ মাস আগে সুদানে গৃহযুদ্ধ শুরুর পরে ১ কোটির বেশি মানুষ ঘরছাড়া হয়েছেন। রাষ্ট্রসঙ্ঘের মানবাধিকার বিভাগের হাই কমিশনার ভলকার টার্ক বলেছেন, সুদান-সহ যুদ্ধরত দেশগুলো ধর্ষণকে যুদ্ধের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে।