খাস খবর ডেস্ক: নবান্নের তরফে অনুমতি না মিললেও বাংলার মানুষ সঙ্গে আছেন৷ তাই মানুষকে সঙ্গে নিয়েই বাংলার মাটিতে ছুটবে পরিবর্তনের রথ৷ সংবাদ মাধ্যমকে সাফ জানিয়ে দিলেন বিজেপির হাই ভোল্টেজ নেতা অমিত শাহ, ‘‘রথযাত্রা বাঙালির সংস্কৃতি৷ মানুষকে সঙ্গে নিয়েই আমরা সেই উৎসব করব৷’’
বিজেপি সূত্রের খবর, আগামী ১০ ও ১১ ফেব্রুয়ারি ফের বঙ্গ সফরে আসছেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী৷ ওই সময়ই বাংলার মাটিতে পরিবর্তনের রথযাত্রা উৎসবের সূচনা করা হতে পারে৷ শিলিগুড়ি, নবদ্বীপ, তারকেশ্বর, ঝাড়গ্রাম সহ রাজ্যের পাঁচটি পয়েন্ট থেকে রথযাত্রা বের করার পরিকল্পনা রয়েছে গেরুয়া শিবিরের৷ শিনিগু়ড়ির রথযাত্রায় থাকার কথা দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎপতি নড্ডার৷ পাঁচটি রথযাত্রায় শেষ হবে কলকাতায়৷ সেখানে বিশাল সমাবেশেরও পরিকল্পনা রয়েছে গেরুয়া শিবিরের৷ এদফার বাংলা সফরে মতুয়াভোটের দিকে নজর রেখে শাহ যেতে পারেন ঠাকুরনগরেও৷
প্রসঙ্গত, ভোটের সময় রথযাত্রা বের করার রীতি বিজেপির ঘরনায় নতুন নয়৷ আশির দশক থেকেই বিজেপির অন্দরে এই রেওয়াজ রয়েছে৷ গত লোকসভা নির্বাচনের সময়ই তাঁরা বাংলার মাটিতে রথযাত্রার কর্মসূচি নিয়েছিল৷ তখনও নবান্নর তরফে অনুমতি দেওয়া হয়নি৷ রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, সেই সময়ের সঙ্গে বর্তমান সময়ের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট অনেকটাই বদলে গিয়েছে৷ ফলে নবান্নর অনুমতি না দেওয়াটাকেই তুরুপের তাস হিসেবে ব্যবহার করে আরও বেশি করে রথযাত্রা কর্মসূচি পালন করবে গেরুয়া শিবির৷ কারণ, রাজ্য সরকারের পুলিশ প্রশাসন দ্বারা বাধাপ্রাপ্ত হলে আদতে আরও বেশি করে প্রচারের সুযোগ পাবেন তাঁরা৷ আরও বেশি করে গড়ে তোলা যাবে জনমতও৷
আপাতত সেই লক্ষ্যেই পরবর্তী ঘুঁটি সাজাচ্ছেন বিজেপির টীম বঙ্গের নেতারা৷ তারওপর স্বয়ং অমিত শাহ যদি সেই কর্মসূচিতে থাকেন তাহলে রাজ্যে দলীয় কর্মীদের উন্মাদনা যে বাড়বে তা বলাইবাহুল্য৷ এখন দেখার বিজেপির পরিবর্তনের রথ থামাতে ঘাসফুল শিবির পাল্টা কি পদক্ষেপ গ্রহণ করে৷ আপাতত সেদিকেই নজর রাখছেন রাজনীতির কারবারীরা৷