সংকর্ষণ ঘোষ: ঠিক এইবারে প্রশ্ন আসে শ্রমজীবী মানুষের কাছ থেকে তার সেই প্রাপ্য এবং প্রাপ্তটুকুও ছিনিয়ে নেওয়ার। আগেই বলেছি নিজের পেট ভর্তি থাকলে অপরের পেটে লাথি মারার প্রবণতা মানুষের মজ্জাগত। চাহিদাকে নিয়ন্ত্রণ করবার যে আগ্রাসী নীতি তার সবচেয়ে বড়ো অস্ত্র হচ্ছে ক্রেতার স্বাভিমানে আঘাত। “যার নেই সে কিনতে পারবেনা” এই হ’চ্ছে পুঁজিবাদী মনস্কতার প্রকাশ, কিন্তু “যার নেই সে বাঁচতে পারবেনা” এটি হ’চ্ছে আদর্শ পুঁজিবাদের প্রকাশ। আসলে এই আগ্রাসনের একমাত্র কারণ হ’চ্ছে পুঁজিবাদীর নিজস্ব অস্তিত্ব নিয়ে পূর্বোক্ত কৃত্রিম ভয় এবং মার্ক্সীয় অর্থনীতি ঠিক এই ঘটনাকেই একবাক্যে প্রকাশ ক’রেছে এই তত্ত্বে যে উদ্ভাবনীক্ষেত্রে প্রতিনিয়তঃ বৈপ্লবিক পরিবর্তন না ঘ’টিয়ে পুঁজিবাদী শ্রেণী বাজারের পাশাপাশি পৃথিবীতেও নিজের অস্তিত্ব বজায় রাখতে পারেনা।
আরও পড়ুন- শেষের শৃঙ্খল – প্রথম পর্ব
এইখানে এসে চিরাচরিত অর্থনীতির আরেকটি বক্তব্যের খানিক অসারতাই প্রমাণিত হ’য়ে যায় যে সবসময় ক্রেতার স্বতঃস্ফূর্ত রুচিই কেবল বাজারের চাহিদা নিয়ন্ত্রণ করেনা, বহুক্ষেত্রে ক্রেতার নিজের রুচিও বিক্রেতার ইচ্ছায় নির্ধারিত হয়। সঙ্গে সঙ্গেই সকলের মনযোগ অর্থনীতি থেকে স’রে আসে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ওপর, সেখান থেকে স’রে আসে সামগ্রিক শিল্পক্ষেত্রের ওপর যে তাহ’লে কি সভ্যতার উন্নতিসাধনে এতোদিন পর্যন্ত যা যা বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার হ’য়েছে সকলই কি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ব্যবহারিক প্রেক্ষিতে মিথ্যে? উত্তর হ’চ্ছে তা যেমন সর্বক্ষেত্রে মিথ্যে নয়, তেমনই একেবারে নির্জলা সত্যিও নয়। এ কথা যেমন ঠিক যে গণমাধ্যম না থাকলে নিজস্ব ভাবনা ছ’ড়িয়ে দিতে আমি পারতামনা, তেমনই গণমাধ্যমের অভাবে কখনোই কোনো বলিষ্ঠ মতামত অজস্র মননে ছ’ড়িয়ে প’ড়তে বাধা পায়নি। এখনও কিন্তু কেবল ভারতবর্ষেই বহু ঘরে অন্তর্জাল দূরে থাক, বিদ্যুৎ সংযোগও পৌঁছোয়নি, বাকি পৃথিবীর হিসাব তো নয় বাদই দিলাম। দেড়লক্ষ টাকা মূল্যের দূরভাষের ক্রেতাও কিন্তু দীর্ঘকাল ধ’রে তৈরী করা হ’য়েছে, নাহ’লে তা কখনোই এতো বিপুল সংখ্যায় বিক্রী হ’তোনা। ভোগবাদী মনস্কতাকে উৎসাহী দিতেই উদ্ভাবন করা হ’য়েছে ‘উপভোক্তার গর্ববোধ’ বা প্রাইড অফ পজেশন বাক্যবন্ধটি। প্রযুক্তি নিজেকে সভ্যতার পক্ষে অপরিহার্য ব’লে তখনই দাবি ক’রতে পারে যখন সে আপামর পৃথিবীর প্রতিটি কোণায় পৌঁছোতে পেরেছে। সংখ্যায় সামান্য কিছু মানুষের কোনো অধিকার নেই নিজেদের সমগ্র মানবজাতির প্রতিভূ হিসাবে জনসমক্ষে ঘোষণা করার।
তো এখন আমরা ফিরে যাবো “উদ্ভ্রান্ত সেই আদিম যুগে”, যেখানে আপামর মানবজাতি পশু শিকার করে পুড়িয়ে খাওয়ার তুলনায় সামান্য উন্নত হয়েছে এবং খুঁজে পেয়েছে তার আদি ও অকৃত্রিম পেশা। ভূমিজ উর্বরতার ওপর নির্ভর ক’রে প্রথমে অসংগঠিতভাবে, তারপর নিজস্ব উদ্যোগে নির্দিষ্ট সীমানা বুঝে নিয়ে সে শুরু ক’রেছে সংগঠিত ‘কৃষিকাজ’। সেই সেদিন যে ‘কৃষিনির্ভরতা’ শুরু হ’য়েছিলো তারপর থেকেই পৃথিবীর সমস্ত সমৃদ্ধিশালী দেশ প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধ’রে ক’রে যাচ্ছিলো এই একই কাজ। কিছুদিন যেতে না যেতেই কৃষির পাশাপাশি তার নিজস্ব প্রয়োজনে গ’ড়ে উঠেছিলো শিল্প ও তৎসম্পর্কিত প্রযুক্তি। পারস্পরিক নির্ভরতায় আয়তনে দুই পক্ষই বর্ধিত হ’য়ে চ’লেছিলো নিজেদের মতো। সমস্যা তখনই শুরু হ’লো যখন পুঁজিবাদের পূর্বোক্ত সুবিধার্থে উন্নততর অর্থনীতির (প্রায় সমস্ত নৈতিকতারও) মাপকাঠি হিসাবে জনসমক্ষে তুলে ধরা হ’লো ‘শিল্পনির্ভরতা’ এবং রাষ্ট্রের সমর্থনে পুঁজিবাদী পক্ষ কৃষির বদলে সম্পূর্ণ মনোনিবেশ ক’রলো শিল্পের ওপর। স্বতঃস্ফূর্ত শিল্পক্ষেত্রের পরিবর্তে ‘প্রয়োজনীয়তাই উদ্ভাবনের জন্মদাত্রী’ বা নেসেসিটি ইজ দ্য মাদার অফ ইনভেনশন এই অজুহাতে কেবল পুঁজির বৃদ্ধিতে এতো বেশী সংখ্যক আরোপিত শিল্পক্ষেত্রের উদ্ভব হ’লো যে জঙ্গল ইত্যাদি শূন্যস্থান তো বটেই নূতনতর শিল্পের উদ্দেশ্যে সরাসরি কৃষিযোগ্য ক্ষেত্রও অধিগ্রহণ করা প্রয়োজনীয়তা দেখা দিতে লাগলো (যদিও একথা প্রমাণিত যে শিল্প কৃষির প্রধানতম সহযোগী মাত্র, পরিবর্ত নয়) এবং এর পাশাপাশি নদীমাতৃক অঞ্চলসমূহে জমির উর্বরতা নষ্ট হ’তে হ’তে সেখানকার সমগ্র কৃষিব্যবস্থাতেই সরাসরি প্রভাব ফেলতে শুরু ক’রলো, ফলে ফসলের উৎপাদন গেলো ক’মে। এদিকে শিল্পাঞ্চলের পার্শ্ববর্তী নদীতে বর্জ্য, বাতাসে দূষণ, মাটি অক্ষম, তা সত্ত্বেও কেবল অস্তিত্ত্বরক্ষার্থে (শিল্পক্ষেত্রে অংশগ্রহণের যোগ্যতা না থাকায়) যারা কৃষিকাজে বাধ্য হ’লো তাদের ঐ একই ব্যবসায়ীর কাছ থেকে কিনতে হ’লো রাসায়নিক সার ও কীটনাশক, তাতে উৎপাদনের পরিমাণ পূর্বের তুলনায় আরো হ্রাস পেলো, কৃষকের অর্থাগমও একইসাথে অনেকাংশে বন্ধ হ’য়ে গেলো। অবশেষে ফলাফল যা দাঁড়ালো যে অন্যান্য প্রাণীর যোগ্য বাসস্থান নেই, মানুষের পেটে খাবার নেই, কৃষকের হাতে অর্থ নেই, আছে শুধু পুঁজিবাদী পরজীবীদের অজস্র কারখানা, তাদের হাতে পর্যাপ্ত অর্থ ও রাষ্ট্রবল আর সেই কারখানা থেকে চতুর্দিকে ছড়ানো বিষাক্ত রাসায়নিক বর্জ্য। অর্থনৈতিক পরিভাষায় একের স্বার্থরক্ষার্থে বহুর স্বার্থ ক্ষুণ্ন করবার এই অব্যবস্থা ‘বাস্তুতান্ত্রিক স্বৈরাচার’ বা ইকো ফ্যাসিজম্ নামে পরিচিত। এই ঘটনা নিয়ন্ত্রণে রাষ্ট্রের ব্যর্থতা নিঃসন্দেহে রাষ্ট্রবাসীকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রতারণার পরিচায়ক। এই অবস্থা থেকে পিছিয়ে যাওয়ার কোনোই পথ নেই, কিন্তু ব্যক্তিগত স্বার্থ না থাকলে রাষ্ট্র এর অগ্রগতি অবশ্যই যেকোনো সময় রোধ ক’রতে সক্ষম।
কেরলের রাজনৈতিক প্রসঙ্গে আলোচনা ক’রতে গেলে প্রথমেই যে বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হ’য়ে দাঁড়ায় তা হ’লো উত্তর ও দক্ষিণ ভারতের নৈতিক মতবিরোধ। স্বাধীনতার প্রাক্কালে ভারতবর্ষে রাজনৈতিক সিদ্ধান্তগ্রহণসংক্রান্ত বিষয়ে বারংবার কেন্দ্রীয় সরকারের শিরঃপীড়া হ’য়ে দাঁড়িয়েছে এই রাজ্যটি। সমস্যা হ’লো মানুষ যেকথা কখনোই বুঝতে চায়না যে পৃথিবীর কোনো দেশের, কোনো রাজ্যের, ন্যূনতম শিক্ষায় শিক্ষিত মানুষসম্বলিত কোনো অঞ্চলের নাগরিকরা কখনও কোনো নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দল বা তার সদস্যকে অন্ধ আনুগত্যের প্রভাবে জনপ্রতিনিধি হিসাবে নির্বাচন করেনা, করে নিজস্ব বিচারবুদ্ধি থেকে এমন কোনো রাজনৈতিক দল অথবা মানুষকে যারা স্বয়ং জনগণকেই সংসদীয় মঞ্চে উপস্থাপিত ক’রবে। কেরলে মানুষের অন্তর্গতঃ পরার্থপরতার পরিমাণ এতো বেশী যে মারণবীজাণুসংক্রান্ত বিপদে সর্বাগ্রে সর্বোচ্চ সংখ্যক তারাই আক্রান্ত হ’য়েছে এবং অন্তর্গত স্বাস্থ্যব্যবস্থায় পূর্ণ বিশ্বাস (যা পারস্পরিক আস্থা ব্যতীত গ’ড়ে ওঠা সম্ভব নয়) রেখে সুস্থও হ’য়ে উঠেছে সবার আগে। ব্যক্তিগত ধর্মাচরণ ও পরিসরে তাদের সৌভ্রাতৃত্ব সম্পর্কে আমরা প্রত্যেকেই অবহিত, কিন্তু অপরাপর প্রাণীদের প্রতি তাদের মনোভাব আমরা কতোটুকু জানি? একটি রাজ্য, যেখানে প্রায় সকল রাজ্যবাসীই প্রাতিষ্ঠানিকভাবে শিক্ষিত এবং খাদ্য, শিক্ষা, স্বাস্থ্যের মতো সমস্ত প্রাথমিক চাহিদাই সরকারের উদ্যোগে প্রত্যেকের করায়ত্ত, গত সপ্তাহে কিন্তু সেখানেই অন্তর্জালে পঠনপাঠনের সুবিধা না পেয়ে অগ্নিসংযোগে আত্মহত্যা ক’রেছে এক ছাত্রী। শাসকের হাতে উদ্বৃত্ত যতোই থাকনা কেন এবং তার বন্টন যতোই সুচারুরূপে হোকনা কেন, একথা তো অনস্বীকার্য যে কৃষিপ্রধান একটি রাজ্যে রাজ্যবাসীর ব্যক্তিগত জমিতে উৎপাদন ও অর্থাগম দুইই বহুদিন বন্ধ ছিলো। কিছুক্ষেত্রে নৃশংসতার চূড়ান্ত হ’লেও সাধারণ মানুষ তার সর্বস্বটুকু যেকোনো মূল্যে বাঁচাতে চেষ্টা ক’রবেনা কি?
ঠিক এমতাবস্থাতেই গর্ভবতী হস্তিনীটি শস্যক্ষেতে প্রবেশ ক’রেছিলো। প্রশ্ন উঠতেই পারে যে সে যা’ই অপরাধ ক’রুক বা ক’রতে যাক, বিশ্বাসের সুযোগে খাদ্যের নামে মুখে বিস্ফোরক ছুঁড়ে দেওয়া কি নৃশংসতা নয়? নিঃসন্দেহে নৃশংসতা তাতে কোনো দ্বিমত নেই, কিন্তু একত্রে একথাও সত্য যে শেষ আশ্রয়টুকু রক্ষা ক’রতে মানুষ মানুষকে পর্যন্ত হত্যা ক’রতে পারে আর এ তো বন্য চতুষ্পদ। আসলে দিনের শেষে সহানুভূতিও তো একটি বিলাসিতার থেকে বেশী কিছু নয়। গরীব মানুষের নিজের ব’লতে ঐ পরিবারকে ভরণপোষণের স্বতঃস্ফূর্ত তাগিদটুকুই তো আছে। মার্ক্সীয় সাহিত্যে ব্যক্তিগত অনুভূতির প্রকাশকেও ঠিক এইজন্যই স্থান দেওয়া হয়নি (এবং তা ক’রতে গিয়ে মার্ক্সবাদ মানুষের জীবন থেকে মনুষ্যত্বকেই একরকম বাদ দেওয়ার উপক্রম ক’রেছিলো)। শেষে এটুকুই সন্দেহের অবকাশ থেকে যায় যে যারা এহেন ঘৃণ্য কাজটি ক’রলো জমিটি কি আদৌ তাদেরই ছিলো? উত্তর যদি “হ্যাঁ” হয় তাহ’লে এ ব্যাপারে আমার আর কোনো বক্তব্য নেই। কিন্তু যদি উত্তর “না” হয়? যদিও রাজ্য সরকারের তদন্তের ফলাফলকে কোনো গুরুত্ব আমরা আপাততঃ দিচ্ছিনা, তারপরেও এ ব্যাপারে ব’লি অপরাধমূলক প্রবৃত্তিও সর্বদা ব্যক্তিগত অপ্রাপ্তি থেকেই আসে। মানসিকভাবে সুস্থ প্রকৃতির কোনো মানুষ অহেতুক হিংস্রতায় বিশ্বাস করেনা আর যদি তা করে তা হ’লে তাকে আক্ষরিক অর্থেই সুস্থ সমাজের উপযোগী বলা যায়না (প্রকৃত অপরাধীর মনস্তত্ত্ব বিশ্লেষণের পরিসর এখানে নয়)। কেবলমাত্র একটি শ্রেণী, একটিই মাত্র শ্রেণী, যাদের বিলাসিতা আজকে এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে তারা পারলে সারা পৃথিবীর সীমানা উপেক্ষা ক’রে নিত্যনতুন পণ্যের ব্যবসা খুলে বসে (সাম্রাজ্যবাদী মনস্কতাও পুঁজিবাদের অন্যতম বৈশিষ্ট্য, যেখান থেকে মূলতঃ ‘বিশ্বায়ন’ বা গ্লোবালাইজেশনের ধারণার উৎপত্তি ঘ’টে সমস্ত দেশীয় শিল্পের সর্বনাশ ক’রেছে) সেই মুষ্টিমেয় মানুষের স্বার্থে পৃথিবীর সমস্ত সুস্থ নৈতিকতা নষ্ট হ’য়ে গেলো, বাস্তুতন্ত্র নষ্ট হ’য়ে গেলো, হয়তো মানবজাতির ধ্বংসও ত্বরান্বিত হবে। শুনলে অবাক হবেন যে দুই-তিনমাসব্যাপী মৃত্যুমিছিলের পর ইতালিতে অজস্র মানুষ রাস্তায় অর্থ বর্জ্যের মতো ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছে এই ব’লে যে কাছের মানুষরাই যখন র’ইলোনা তখন এসব রঙিন কাগজ দিয়ে আমাদের আর কী হবে? অর্থনৈতিক বৈষম্যহীন জীবন পৃথিবীর প্রত্যেকটি মানুষের প্রাপ্য, প্রত্যেকটি প্রাণের স্বপ্ন। কেরলে এ মৃত্যু, এ নৃশংসতা, এসবের দায় রাজ্যবাসীর নয়, ভালোভাবে বাঁচতে চাওয়া আপামর পৃথিবীর মানুষের নয়, এ দায় পুরোপুরি অর্থলিপ্সু সেই নরপিশাচদেরও নয়, দোষ নিয়ন্ত্রণের, দোষ সুবিধার হার বাড়ানোর নামে পরনির্ভরতার, এজন্য সমর্থক বা বিরোধী হিসাবে কোনো পতাকার তলায় দাঁড়িয়ে শাসনব্যবস্থাকে দোষারোপ বা গৌরবান্বিত ক’রতে হয়না। আসল যুদ্ধ যাদের সঙ্গে তাদের কাছে অনুভূতির মূল্য খুব কম, প্রায় নেইই ব’লতে গেলে। কেবল প্রার্থনা ক’রি যে ফিরে আসুক, প্রাপ্য ন্যায়বিচারের ব্যবস্থাটুকু পুনরায় ফিরে আসুক। মনে রাখবেন বিশালাকায় যে ভোজনালয়টি থেকে পছন্দের খাবারটি আনিয়ে আস্বাদন ক’রতে ক’রতেই হাতিটির জন্য দুঃখ ক’রেছেন, সেখানেও একদিন প্রাণ ছিলো, সেখানেও একদিন সবুজ ছিলো। হাতি না হোক, গোরু চ’রতো সেখানে। তাদের ঘরহারা ক’রে দিয়ে এই যে রমরমিয়ে ব্যবসা, সেখানে কিন্তু এইভাবেই অপরাধের আমরাও অংশীদার। ঐ যে ব’ললাম পুঁজির বৃদ্ধিতেই কৃত্রিম চাহিদার সৃষ্টি।
ধন্যবাদ।
(বিঃদ্রঃ হাতিটিও মরিয়া পুনরায় প্রমাণ করিয়াছে যে গণমাধ্যমে সমস্ত ঘটনাই একেকটি গড্ডলিকা প্রবাহ ব্যতীত অন্য কিছু নহে। ধন্যবাদ।)