অনুভব খাসনবীশ, খাস খবর ডেস্ক: আমরা পুরানে আদম এবং ইভের গল্প শুনেছি। অর্থাৎ, মানবজাতির উদ্ভবের প্রথম পর্যায়। অন্যদিকে, প্রাচীন ইহুদী ধর্মমতের সঙ্গেও আমরা প্রত্যেকে পরিচিত। যেখানে বলা হয়েছে আদম-ইভের আগে সর্বসক্তিমান সৃষ্টি করেছিলেন ‘লিলথ’। শারীরিকভাবে এবং আধ্যাত্মিকভাবে যা উভয়লিঙ্গ প্রাণী।
আরও পড়ুন সহানুভূতি আদায়ের চেষ্টায় নাটক করছেন মুখ্যমন্ত্রী, দাবি বিজেপির
সাধারণ বিজ্ঞান পরেও আমরা বংশগতি সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় জানি। XX ক্রোমোজম মহিলা বা XY ক্রোমোজম হলে পুরুষ, তা প্রত্যেকেরই জানা। এবার এই বিষয়েই আরেকটি চমকপ্রদ তথ্য দিলেন স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ও সুপ্রজননবিদ ডঃ গৌতম খাস্তগীর।
আরও পড়ুন ডঃ গৌতম খাস্তগীরের সঙ্গে ক্যানসার বিষয়ক কথোপকথন
তিনি জানালেন, ‘একটি ভ্রুণ থেকে গর্ভাবস্থায় শিশুর পূর্ণাঙ্গ রুপ নেওয়ার প্রথম পর্যায়ে প্রত্যেকেই একইরকম।’ অর্থাৎ, প্রত্যেক শিশুরই প্রথম পর্যায়ের শারীরিক গঠন মেয়ের মতো। সামনে মূত্রনালী, শরীরের পেছনদিকে মল নির্গমনের পথ এবং একদম মাঝে জননাঙ্গ। এই জননাঙ্গ তৈরি হয় মুলেরিয়ান ডাক্ট থেকে।
মেয়েদের ক্ষেত্রে এই মুলেরিয়ান ডাক্ট দুটি জুড়ে যায়। অন্যদিকে ছেলেদের ক্ষেত্রে মস্তিষ্ক থেকে একটি বিশেষ হরমোন নিঃসরণ হয়, যার নাম মুলেরিয়ান ইনহিবিটারি ফ্যাক্টর। যা মুলেরিয়ান ডাক্টকে যা বড় হতে দেয় না। ফলে, পুরুষের পেটের মধ্যে কোনও জননাঙ্গ থাকে না।
শিশুর প্রথম অবস্থা থেকেও চার মাস পর্যন্ত কোনও পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায় না। চার মাসের পর থেকে ছেলে এবং মেয়েদের দেহের গঠনে আস্তে আস্তে পার্থক্য আসতে শুরু হয়। তারপর একটি পরিপূর্ণ শিশু ছেলে বা মেয়ে হয়ে বড় হতে থাকে।
আরও পড়ুন প্রশান্ত ডোরাকে ‘বাঁচিয়ে’ রাখতে তৎপর চিকিৎসক গৌতম খাস্তগির
প্রসঙ্গত, কন্যা ভ্রূণ হত্যা রুখতে ১৯৯৪ সালে ভারত সরকার আইন করে লিঙ্গ নির্ধারণ বন্ধ করে দেয়। সেই আইনকে সম্পূর্ন সমর্থন করেন তিনি। ডঃ খাস্তগীর জানান, ‘জন্মের আগে লিঙ্গ নির্ধারণের কোনও প্রয়োজনীয়তাও নেই। আমরা গর্ভাবস্থায় শিশু সুস্থ আছে কিনা, তা জানার জন্য তার হার্ট-কিডনি-লিভার ইত্যাদি পর্যবেক্ষণ করি। তার জননাঙ্গ দেখার কোনও দরকারই পরে না।’