
কেনিয়া: করোনা পরিস্থিতির সঙ্গে দুর্নীতির যোগ রয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। মহামারীর সময়ে সাধারণ মানুষের জীবন সারা বিশ্বজুড়ে আরও বেশি সমস্যায় পড়েছে। এই সময়ে দরিদ্র মানুষদের অবস্থার আরও অবনতি হয়েছে। প্রচুর মানুষ কর্মহীন হয়েছেন। এর মধ্যে জলের চাহিদাও বেড়েছে।
প্রচুর নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারেই ঘরে জল নিয়ে আসা মহিলাদের অন্যতম কাজ। যেখানে জলের জন্য সরকারি পরিষেবাও সেভাবে নেই সেখানে মহিলারা বিশাল লাইন দিয়ে জল জোগাড় করে আনেন নিত্যপ্রয়োজনের জন্য। পাশাপাশি যথেষ্ট অর্থও থাকে না কেনার জন্য।
ফলাফল রূপে জলের বিনিময়ে সঙ্গমে লিপ্ত হতে হচ্ছে মহিলাদের। জল সরবরাহকারীদের মধ্যে বেশিরভাগ পুরুষই যৌন সম্পর্কের বিনিময়ে জল দেওয়ার চুক্তি রাখছে। মহামারীর আগেও জলের চাহিদা মেটাতে গিয়ে হিমশিম খেতে হত। মহিলারা লাইনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে তবে জল নিয়ে আসতে পারতেন।
এরকম একটি পরিবেশে থাকাকালীন জল আনতে গিয়ে তাঁদের অভব্য আচরণের শিকার হতে হচ্ছে। শারীরিকভাবে আক্রমণ বা যৌন নির্যাতন করা হচ্ছে তাঁদের ওপর। জল পেতে গিয়ে তাঁদের লিপ্ত হতে হচ্ছে সংগমেও। এরকমই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে।
জল পাওয়া এবং স্যানিটেশন মানুষের মৌলিক অধিকারের মধ্যে পড়ে। কিন্তু সেক্ষেত্রেও এইরূপ পাশবিক ঘটনার সাক্ষী হতে হচ্ছে বেশ কিছু দেশকেই। মহামারির মধ্যেও এই মৌলিক অধিকার অক্ষুণ্ণ হওয়া উচিত নয় বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে মহামারীর আগে থেকেই এই সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন কেনিয়ার বেশ কিছু মহিলারা। এই সমস্যার কথাই তুলে ধরেছেন তাঁরা।