বিশ্বদীপ ব্যানার্জি: কার্তিক-গণেশ হলেন হর-পার্বতীর দুই আদরের দুলাল। হঠাৎ একদিন হর অর্থাৎ মহাদেব দুজনকে জানিয়ে দিলেন, যে আগে তিনবার বিশ্ব পরিভ্রমণ করে আসতে পারবে, তাঁকেই সর্বাগ্রে বিবাহ দেওয়া হবে। শুনেই কার্তিক মহাখুশি। তৎক্ষণাৎ ময়ূরের পিঠে চেপে ব্রহ্মান্ড পরিদর্শনে বেরিয়ে পড়লেন। কিন্তু গণেশ কী করলেন?
আরও পড়ুন: অমর জুটি, তবু কেন বিয়ে হয়নি রাধাকৃষ্ণের?
গণপতিকে বলা হয়, দেবতাদের মধ্যে সবথেকে বুদ্ধিমান। তা কিন্তু নেহাতই কথার কথা নয়। তিনি নিজ পিতামাতার চারপাশেই তিনবার ঘুরে বললেন তাঁর বিশ্বভ্রমণ সম্পন্ন! তবে এই গল্প তো আমরা জ্ঞান হওয়া ইস্তকই শুনে আসছি। কিন্তু কার্তিক এবং গণেশের মধ্যে জ্যেষ্ঠ কে?
মুশকিল হল, কার্তিক-গণেশ দুই ভাইয়ের মধ্যে কে যে আসলে জ্যেষ্ঠভ্রাতা আর কে কনিষ্ঠ, তা নিয়ে মতের অন্ত নেই। উত্তর ভারতে কার্তিক বড় আর গণেশ ছোট। আবার দাক্ষিণাত্যে গণেশই বড়ভাই। আরও একটি মত অনুসারে, খ্রিস্টপূর্ব ৫০০ অব্দ থেকে ৬০০ খ্রিস্টাব্দ সময়কাল পর্যন্ত যুদ্ধের দেবতা হিসেবে কার্তিকের আলাদাই খ্যাতি ছিল।
খাস খবর ফেসবুক পেজের লিঙ্ক:
https://www.facebook.com/khaskhobor2020/
সম্ভবত স্মার্তদের দ্বারা গণেশের উত্থানের পর থেকেই ধীরে ধীরে কার্তিকপুজোর গুরুত্ব কমতে শুরু করে। এ সময় দু’ভাইকে নিয়ে একাধিক প্রতিদ্বন্দ্বিতার কাহিনী পুরাণে পাতায় ভেসে উঠেছিল। এ কী দুই সম্প্রদায়ের রেষারেষির ফল? যাই হোক, গণেশকে মনে করা হয় হিন্দু ধর্মের সবচেয়ে শুভ দেবতা। কারণ তিনি শিল্প, বিজ্ঞান, জ্ঞান এবং বুদ্ধির দেবতা। আগামীকাল পবিত্র গণেশ চতুর্থীর আগে ওসব রেষারেষি ভুলে চলুন, সিদ্ধিদাতার নামে দিনটা যাপন করার অঙ্গীকার করা যাক।