
বিশেষ প্রতিবেদন: মঙ্গলবার দুপুর৷ আচমকায় আকাশ কালো করে নেমে এল মেঘ৷ তারপরই ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি৷ হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস সত্যি করেই মঙ্গলবার দুপুরের পর থেকে বৃষ্টিপাত শুরু হল পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া সহ দক্ষিণবঙ্গের জঙ্গলমহলে৷ যার দরুন, আচমকায় পথে বেরিয়ে বৃষ্টিতে ভিজতে হল অনেককেই৷
অসময়ের এই বৃষ্টি চাষের ক্ষতির পাশাপাশি ডেকে আনতে পারে নতুন নতুন রোগও৷ এমনটাই আশঙ্কা থাকছে৷ একই সঙ্গে উঠছে প্রশ্ন, কেন এই অসময়ের বৃষ্টি? শীতে বর্ষার আচরণ, আবার বর্ষায় গরমের আচরণ! কেনই বা ঋতুর এই খামখেয়ালিপনা? হাওয়া বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যেহারে প্রকৃতির ওপর অত্যাচার বাড়ছে, বাড়ছে দূষণের মাত্রা তাতে প্রকৃতির খামখেয়ালিপনা এমনটা হওয়ায় স্বাভাবিক৷
ওই মহলের মতে, প্রতিটি ক্রিয়ার বিপরীত প্রতিক্রিয়া থাকে৷ অত্যাধুনিক মানুষ যেহারে দূষণে মদত দিচ্ছে তাতে এখন ঋতুর যেটুকু অবশিষ্ট রয়েছে আগামীদিনে তাও থাকবে না৷ এর থেকে রক্ষা পেতে হলে দূষণ কমানো জরুরি৷ পেট্রপণ্যে চালিত গাড়ির ব্যবহার কমিয়ে পরিবেশ বান্ধব গাড়ি চালানোর ওপরেও জোর দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা৷
জানা গিয়েছে, পশ্চিমী ঝঞ্ঝার দাপটেই এই বৃষ্টিপাত৷ যা আগামী আরও দু’দিন বজায় থাকতে পারে৷ বাংলার পাশাপাশি বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড, বিহারেও৷ ওই মহলের মতে, দূষণ নিয়ন্ত্রণ না করা হলে দিন যত বাড়বে ততই বাড়বে প্রকৃতির খামখেয়ালিপনা৷ তাই সময় থাকতেই সকলকে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা৷
আরও পড়ুন: কেন্দুলির মেলাতেও ছাড়, ঐতিহ্যকে রক্ষা করতে গিয়ে আমরা থাকব তো, উঠছে প্রশ্ন
আরও পড়ুন: সাহিত্যিকের ঘরে করোনার হানা, আক্রান্ত Shirshendu Mukherjee