বিশ্বদীপ ব্যানার্জি: মহিষাসুরকে বধ করেছেন দেবী দুর্গা। এ কথা তো কারওরই অজানা নয়। কিন্তু মহিষাসুর আসলে কে? পুরাণ বলে, তিনি রম্ভাসুরের পুত্র। কিন্তু সেটিই কি দেবী দুর্গার বধ্যের একমাত্র পরিচয়? একেবারেই নয়। কথিত, মহিষাসুর আসলে দেবাদিদেব মহাদেবেরই অবতার।
আরও পড়ুন: Janmashtami 2024: শ্রীকৃষ্ণ কেন লীলা পুরুষোত্তম?
অবিশ্বাস্য লাগছে? তাহলে দেবী কালিকার শিবের বুকে দাঁড়ানোর প্রসঙ্গটিতে আলোকপাত করা যাক। দেবীর পতি শিবের বুকে দাঁড়ানো নিয়ে যে লোককাহিনীটি চালু, তা এইরকম—
অসুর নিধনে মত্ত দেবী কালিকা হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিলেন। জগৎ ধ্বংসে ব্রতী হন তিনি। তখন মহাদেব দেবীকে শান্ত করার উদ্দেশ্যে তাঁর পায়ের তলায় বুক পেতে দেন। এতে হুঁশ ফিরে পেয়ে যেই কালী খেয়াল করলেন, তিনি নিজের স্বামীর শরীরেই পা দিয়ে ফেলেছেন। লজ্জায় জিভ বেরিয়ে গেল।
এই কাহিনীই আমরা আশৈশব শুনে আসছি। কিন্তু যোগিনীতন্ত্র নামক গ্রন্থে আবার রয়েছে, দেবী পতি মহাদেবকে বলছেন, “তুমি মহিষীকে বীর্যদান করে তার গর্ভে মহিষাসুররূপে জন্ম নেবে। সে সময় তোমার অসুরভাব প্রকটিত হওয়ায় আমি ‘ভদ্রকালী’ হয়ে তোমাকে হত্যা করে বুকের ওপর দাঁড়াব।”
খাস খবর ফেসবুক পেজের লিঙ্ক:
https://www.facebook.com/khaskhobor2020/
খুব বিশ্বাসযোগ্য লাগছে কি তথ্যটি? এখানেই আসল মজা। পুরাণ মতে, মহিষাসুরের জন্ম রম্ভ নামক অসুরের বীর্য থেকে। কিন্তু ভেবে দেখুন, ‘মহিষাসুরমর্দিনী’ নামে যাঁকে আমরা চিনি, সেই দুর্গার আরাধনাকালেও মন্ত্র বলা হয়ে থাকে, “ওঁ হ্রীঁ ভদ্রকাল্যৈ নমঃ”! তাহলে এ থেকেই তো একটি ধারণা তৈরি হচ্ছে। মহিষাসুর আসলে শিবের ঔরসজাত, আবার সেইসঙ্গে তাঁর অবতারও।