বিশ্বদীপ ব্যানার্জি: নারীরা কী না পারে? তবে নারীর এমন একটি ক্ষমতা রয়েছে যা পুরুষের নেই। এই ক্ষমতা শুধুমাত্র নারীরই রয়েছে। এই দুনিয়ায় কেবল তারাই মা হতে পারে। তবে প্রকৃতি মাতৃত্বের স্বাদ থেকে পুরুষদের বঞ্চিত রাখলেও একজন ব্যতিক্রম। হিন্দু পুরাণ অনুসারে, তিনিই হলেন একমাত্র পুরুষ যিনি গর্ভধারণ করেছিলেন।
আরও পড়ুন: বুড়ির বেশে রক্ষা করেন ছোট শিশুদের, মা কালীর এই রূপ অচেনা বাঙালির কাছে
মহাভারতে এই ঘটনার উল্লেখ আছে। আর এই মাতৃত্বের স্বাদ পাওয়া পুরুষটি আর কেউ নন, স্বয়ং শ্রীকৃষ্ণের পুত্র শাম্ব। যদিও তিনি মনুষ্য সন্তান প্রসব করেননি। এমনকি কোনও জীবকেই জন্ম দেননি। মহাভারতে উল্লেখিত, কৃষ্ণপুত্র শাম্ব প্রসব করেন একটি লৌহ মুষল।আর এই মুষলই যদু বংশ ধ্বংসের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
কিন্তু শাম্ব হঠাৎ মুষল প্রসব করলেন কেন? কৃষ্ণ-বলরামের অনুপস্থিতিতে একবার ঋষি বিশ্বামিত্র, কণ্ব এবং দেবর্ষি নারদ দ্বারকায় উপস্থিত হলে কৃতবর্মা প্রমুখেরা শাম্বকে মেয়ে সাজিয়ে মুনিদের সঙ্গে রসিকতা করতে চান। তাঁরা মেয়ের ছদ্মবেশে শাম্বকে দেখিয়ে বলে, “এ হল বভ্রুর স্ত্রী। এর কী সন্তান হবে, যদি বলে দেন।” বিশ্বামিত্র এবং কণ্ব মুনি মহা তেজস্বী দুই ঋষি। এই প্রতারণার কথা কিছুই অজানা ছিল না তাঁদের কাছে।
খাস খবর ফেসবুক পেজের লিঙ্ক:
https://www.facebook.com/khaskhobor2020/
ক্রুদ্ধ হয়ে দুই ঋষি অভিশাপ দেন, এই জঘন্য রসিকতার জন্য কৃষ্ণপুত্র সত্যি সত্যিই একটি মুষল প্রসব করবেন। যা ধ্বংস করবে গোটা যদুবংশকে। এরপরের দিন সকালেই এক প্রকাণ্ড লোহার মুষল প্রসব করলেন শাম্ব। কৃষ্ণ এবং বলরাম যখন ফিরে আসেন, তখন প্রথমে তো তাঁরা চূড়ান্ত ক্রুদ্ধ হন। তারপর নির্দেশ দেন মুষলটি চূর্ণ করে সমুদ্রে ফেলার। সেইসঙ্গে সুরাপান নিষিদ্ধ করেন দ্বারকা নগরীতে। কিন্তু এত কিছু করেও যে শেষ অবধি যদু বংশকে বাঁচানো যায়নি তা তো সকলের-ই জানা।