
লখনউ: বেজে গিয়েছে নির্বাচনী যুদ্ধের দামামা। আর এক সপ্তাহও বাকি নেই উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের। মানুষ যাতে বিজেপিকে সরকারকে বেছে নেয় সেই চেষ্টা আপ্রাণ করে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। রাজ্যে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে সাফল্য দাবি করেছেন। সেই সঙ্গে রাজ্যের শাসনব্যবস্থা নিয়ে পূর্ববর্তী সরকারকে আক্রমণ শানিয়েছেন। বিশেষ করে মুখ্যমন্ত্রীর নিশানায় রয়েছে অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টি।
মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বৃহস্পতিবার তার পূর্বসূরিদের পুলিশ সংস্কার করতে ব্যর্থ হওয়ার জন্য অভিযুক্ত করেছেন। একই সঙ্গে তিনি অভিযোগ করেছেন পুলিশকে আগের সরকাররা তাদের “ব্যক্তিগত হাতিয়ার” হিসাবে ব্যবহার করতে চেয়েছিল। যোগী অভিযোগ করেছেন, সমাজবাদী পার্টি (এসপি) যারা ২০১২ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত রাজ্যে ক্ষমতায় ছিল তাঁরা কেবল কবরস্থান তৈরির আড়ালে “অর্থ আত্মসাৎ করেছে”। মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেছেন বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর উত্তরপ্রদেশ পাঁচ বছর ধরে দাঙ্গা ও সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ থেকে মুক্ত ছিল এবং উত্তরপ্রদেশ এখন বিনিয়োগকারীদের পছন্দের গন্তব্য হয়ে উঠেছে। এখানেই শেষ নয় পূর্ববর্তী বহুজন সমাজ পার্টি (বিএসপি) এবং সমাজবাদী পার্টি (এসপি) সরকারগুলির আমলে দাঙ্গার সংখ্যা সম্পর্কে বিশদ বিবরণও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
একটি সংবাদ সম্মেলনে যোগী আদিত্যনাথ বলেছেন, “বিএসপি শাসনকালে (২০০৭-২০১২) ৩৬৪ টি দাঙ্গা হয়েছিল। এসপি আমলে (২০১২-২০১৭) সেখানে ৭০০ টিরও বেশি বড় দাঙ্গা হয়েছিল যাতে শতাধিক মানুষ নিহত হয়। ২০১৭ সাল থেকে, রাজ্যে কোনও দাঙ্গা হয়নি। তবুও, সরকার থেমে নেই। আমরা জাতীয় নিরাপত্তার বিবেচনায় সংবেদনশীল জায়গায় একটি সন্ত্রাসবিরোধী স্কোয়াড কেন্দ্র তৈরি করছি।” ন্যশান্যাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরো (এনসিআরবি) ডেটা ব্যবহার করে ২০১৬-২০১৭ সালে সমাজবাদী পার্টির সরকারের সঙ্গে তাঁর শাসনকালের তুলনা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ডাকাতির ঘটনা ৫৮ শতাংশ, লুট ৬৪ শতাংশ, খুন ২৩ শতাংশ, ৫৩ শতাংশ অপহরণ, যৌতুকের কারণে হত্যা ৮ শতাংশ এবং ধর্ষণ ৪৩ শতাংশ কমেছে।
আরও পড়ুন- Galwan Clash: গালওয়ান সংঘর্ষের সময় কমপক্ষে ৩৮ জন চিনা সেনার মৃত্যু হয়েছে নদীতে ডুবে, দাবি রিপোর্টে
মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “একটি বড় রাজ্য হওয়া সত্ত্বেও, আমরা এই মামলাগুলি কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন করেছি। আমরা ধর্মান্তর বিরোধী আইন এবং উত্তরপ্রদেশ রিকভারি অফ ড্যামেজেস টু পাবলিক অ্যান্ড প্রাইভেট প্রপার্টি আইন চালু করেছি।” সন্ত্রাস দমন প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, তাঁর সরকারের আমলে ১৫৫ জন নামকরা অপরাধী এনকাউন্টারে নিহত হয়েছিল এবং আরও ৩,৬৩৮ জন অভিযানে সময় আহত হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী তথ্য দিয়ে জানিয়েছেন, “১৩ জন পুলিশ কর্মীও নিহত হয়েছেন এবং ১,২৩৬ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। গ্যাংস্টার আইনে ৪৮,০৩৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং ৬৯৪ জন অপরাধীর বিরুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তা আইন প্রয়োগ করা হয়েছে।”