খাস ডেস্ক: বাংলাদেশ থেকে ভারতে পঠনপাঠনের জন্যে আসেন অনেক ছাত্রছাত্রী। ভারতজুড়ে ছড়িয়ে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আসা এই পড়ুয়ারা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ অস্থিরতার জেরে উদ্বিগ্ন। এদিকে এখনই দেশে ফেরার কোনও উপায় নেই।
এই পরিস্থিতিতে ভারতের নানা প্রান্তের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশি পড়ুয়াদের সুরক্ষার জন্যে বিভিন্ন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। বিজেপিশাসিত গুজরাটের গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয়ও(Gujarat University) নির্দেশিকা জারি করেছে।
সূত্রের খবর, গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সেখানে পঠনপাঠনরত বাংলাদেশি পড়ুয়ারা যেন এখন কোনওভাবে আমেদাবাদ না ছাড়েন। যদি কোনও বিশেষ কারণবশত পড়ুয়াদের কেউ আমেদাবাদ ছাড়েন, সেক্ষেত্রে যেন তিনি তা অবশ্যই গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানান।
বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি অশান্ত। প্রধানমন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরে শেখ হাসিনা সামরিক হেলিকপ্টারে ভারতে এসেছেন। সঙ্গে রয়েছেন তাঁর বোন শেখ রেহানা। এদিকে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় হাজারো পোস্ট ছড়িয়ে পড়ছে। একইসঙ্গে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি নিয়ে নানান গুজবও ছড়িয়ে পড়েছে।
এই পরিস্থিতিতে গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশি পড়ুয়ারা যাতে কোনও বিভ্রান্তির শিকার না হন, এজন্যে জারি করা হয়েছে ওই নির্দেশিকা। সূত্রের খবর, এই ছাত্রছাত্রীরা ভারত সরকারের ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব কালচারাল রিলেশনস স্কলারশিপ পেয়ে ভারতে পড়তে এসেছেন।
কেবল বাংলাদেশ নয়, এই স্কলারশিপ নিয়ে ভারতে অন্য যে দেশগুলো থেকে ছাত্রছাত্রীরা পড়তে এসেছেন সেই দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে আফগানিস্তান, শ্রীলঙ্কা, তাজিকিস্তান এবং আফ্রিকার নানা দেশের পড়ুয়ারা।
গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে জানানো হয়েছে, আমেদাবাদে পঠনপাঠনরত বাংলাদেশি পড়ুয়ারা যদি অসুবিধায় পড়েন, সেক্ষেত্রে ওঁরা যেন বিশ্ববিদ্যালয়ের চালু করা এমার্জেন্সি হেল্পলাইন নম্বরে যোগাযোগ করেন। দুটি হেল্পলাইন নম্বর সর্বক্ষণ চালু থাকবে বলে জানিয়েছে গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
সূত্রের খবর, বাংলাদেশি পড়ুয়াদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে বৈঠক করেছেন গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নীলম পাঞ্চাল এবং স্টাডি অ্যাব্রড প্রোগ্রামের অধিকর্তা। ওই বৈঠকের পরেই এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
একইসঙ্গে গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশি পড়ুয়াদের উদ্দেশে জানিয়েছে, ভারতে তাঁরা সম্পূর্ণ নিরাপদ। অযথা আতঙ্কের কারণ নেই। যেন ওঁরা গুজবে কান না দেন, সেবিষয়টিও উল্লেখ করা হয়েছে ওই নির্দেশিকায়।