নয়াদিল্লি: ধর্ষিতাকে বিয়ে করার প্রস্তাব পেল ধর্ষক৷ দেশের সর্বোচ্চ আদালতের প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদের মুখ থেকে শোনা গেল একথা৷ অভিযুক্ত একজন সরকারি কর্মচারি৷ তিনি সুপ্রিম কোর্টে জামিনের আবেদন করেন৷ জবাবে প্রধান বিচারপতি তাঁর আইনজীবীকে বলেন, ‘‘যদি আপনার মক্কেল বিয়ে করতে রাজি হয়, তাহলে আমরা সাহায্য করতে রাজি৷’’
প্রধান বিচারপতির এই মন্তব্য দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় তুলেছে৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকের প্রশ্ন, ধর্ষণের পর বিয়ে করলেই কি অপরাধ মাফ হয়ে যায়? ধর্ষণের মতো অপরাধকে আর গুরুতর অপরাধ হিসেবে দেখছে না সুপ্রিম কোর্ট?’’ কটাক্ষ করে কেউ কেউ লেখেন, দেশের বিচারব্যবস্থা প্রহসনে পরিণত হচ্ছে৷ লজ্জায় মাথা হেট হয়ে যাচ্ছে৷
নাবালিকাকে ধর্ষণে অভিযুক্ত মহারাষ্ট্রের এক সরকারি কর্মী৷ গ্রেফতারি এড়াতে শীর্ষ আদালতে জামিনের আবেদন করেছিল সে৷ এদিন তারই শুনানি ছিল৷ অভিযুক্ত সুভাষ চবনের আইনজীবী আদালতকে জানান, জামিন না পেলে তাঁর মক্কেলের চাকরি চলে যেতে পারে৷ সেটা শুনে প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদে বলেন, ‘‘যদি আপনার মক্কেল বিয়ে করতে রাজি হয় তাহলে আমরা সাহায্য করব৷ আর যদি সেটা না করে তাহলে তিনি চাকরি হারাবেন এবং জেলেও যাবেন৷’’
অভিযুক্তের আইনজীবী জানান, নির্যাতিতা থানায় যাওয়ার পর সুভাষের মা বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে মেয়েটির বাড়ি গিয়েছিলেন৷ কিন্তু সেই সময় বিয়েতে রাজি হয়নি ওই কিশোরী৷ পরে ঠিক হয় মেয়েটির বয়স ১৮ হলে অভিযুক্তের সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হবে৷ মেয়েটি রাজি হলেও বেঁকে বসে সুভাষ৷ এরপরই সুভাষের নামে থানায় ধর্ষণের অভিযোগ জানায় নির্যাতিতা৷
তখন অভিযুক্তের কাছে প্রধান বিচারপতি জানতে চান তিনি বিয়েতে ইচ্ছুক কিনা? জবাবে ওই সরকারি কর্মী বলেন, ‘‘এখন আমি অন্যত্র বিয়ে করে নিয়েছি৷ আমি সরকারি কর্মী৷ গ্রেফতার হলে আপনা আপনিই চাকরি চলে যাবে৷’’ এটার শোনার পরেও তাকে চিন্তাভাবনার জন্য ৪ সপ্তাহের জন্য সময় দেন এস এ বোবদে৷ সেই সঙ্গে তার গ্রেফতারিতেও স্থগিতাদেশ দেন৷