হাথরাস: যত সময় যাচ্ছে ততই উঠেছে আসছে হাথরাস (Stampede in Hathras) নিয়ে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য। এই মৃত্যুমিছিল কি শুধুই দুর্ঘটনা নাকি পরিকল্পিত ছিল, প্রশ্ন উঠছে একাধিক। এই সমস্ত কিছুর মধ্যে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ বুধবার হাথরাসের ধর্মীয় মণ্ডলীর আয়োজকদের বিরুদ্ধে একটি এফআইআর দায়ের করেছে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১২১ জন প্রাণ হারিয়েছেন। মৃতদের মধ্যে বেশিভাগ রয়েছেন মহিলা।
তবে এফআইআর-এ অভিযুক্ত হিসাবে উল্লেখ করা হয়নি বাবা নারায়ণ হরি, যিনি সাকার বিশ্ব হরি ওরফে ‘ভোলে বাবা’ নামেও পরিচিত। তার খোঁজে এখনও পুলিশ তল্লাশি চলছে। আজ বুধবার সকালে ঘটনাস্থলে যান মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)। সেখানে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, ‘গতকালের দুর্ঘটনায় ১২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। পাশাপাশি আহত হয়েছেন ১২৫ জন। উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) হাথরাস, বদায়ু, ইটা, ললিতপুর, মথুরা, পিলিভিট, লখিমপুর খেড়ি-সহ ১৬ টি এলাকার মানুষ এই দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত। এছাড়া মধ্যপ্রদেশ, হরিয়ানা ও রাজস্থানের একাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন এই ঘটনায়।’ এদিন কড়া পদক্ষেপের বার্তা দিয়েছেন যোগী। হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, “এক ধরনের ঘটনাকে নিছক দুর্ঘটনা বলা যায় না। যদি নিছক দুর্ঘটনা হয়, তবে তার জন্য দায়ী কে? যদি পরিকল্পিতভাবে ঘটানো হয়ে থাকে তবে কে এই ষড়যন্ত্র রচনা করেছে? সব তদন্ত হবে। প্রাক্তন বিচারপতির নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আজই এর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।” এদিন প্রমাণ লোপাটের কথাও স্বীকার করেছেন মুখ্যমন্ত্রী, বলেছেন, “অত্যন্ত দুঃখজনক বিষয় হল দুর্ঘটনার পর প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করেছে সেবাদাররা। এমনকি পুলিশকেও ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। পরে প্রশাসন সেখানে ঢুকে আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যায়।”
ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। হাইকোউত্তর প্রদেশের হাতরাসে একটি ‘সৎসঙ্গ’-এ পদপিষ্ট হয়ে ঘটনায় করা এফআইআর পুলিশ আয়োজকদের বিরুদ্ধে প্রমাণ লুকিয়ে রাখার এবং শর্ত লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছে। ৮০ হাজারের বদলে কিভাবে ২.৫ লক্ষ লোক হল সেই অভিযোগও আনা হয়েছে।