সিসোদিয়া-সত্যেন্দ্রর পদত্যাগ, দুই নতুন মন্ত্রী পেতে পারে দিল্লির AAP সরকারের মন্ত্রিসভা

0
21

নয়াদিল্লি: দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের মন্ত্রিসভা থেকে মঙ্গলবার পদত্যাগ করেছেন দুই মন্ত্রী। তাঁরা হলেন দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী তথা অর্থমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রী সতেন্দ্র জৈন। কেজরিওয়ালের এই দুই হেভিওয়েট মন্ত্রীকেই দুর্নীতির মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা গ্রেফতার করেছেন। সিসোদিয়া এবং জৈনের পদত্যাগে দুটি পদ খালি হয়েছে। সেই দুই পদে নতুন মুখ আসার সম্ভাবনা রয়েছে বলেই খবর।

সিসোদিয়া, জৈনের পদত্যাগের পর দুই বিধায়ককে AAP সরকারের মন্ত্রিসভায় মন্ত্রী হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করা হতে পারে। মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল তাঁর দুই বিশ্বস্ত সৈনিকের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন। দুই মন্ত্রী নেই বলে কাজ যাতে থেমে না থাকে সেই কারণে ভারসাম্য আনতে AAP সরকার সম্ভবত দুই নতুন বিধায়ক, সৌরভ ভরদ্বাজ এবং অতীশিকে মন্ত্রী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করবে।  আবগারি নীতি কেলেঙ্কারিতে গ্রেফতার  হওয়ার দু’দিন পরে, দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া মঙ্গলবার মন্ত্রী পরিষদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। অন্যদিকে প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন, যিনি গত বছরের মে মাসে একটি কথিত অর্থ পাচারের মামলায় গ্রেফতার  হয়েছিলেন, তিনিও  অরবিন্দ কেজরিওয়ালের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। দিল্লির সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কেজরিওয়াল উভয় পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন এবং রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানোর জন্য লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভি কে সাক্সেনার কাছে পাঠিয়েছেন। এর পরেই AAP  জানিয়েছে দুটি নতুন মুখ শীঘ্রই মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত হবে কিন্তু  কবে বা কখন সেই সময়সীমা দেয়নি ।

- Advertisement -

আরও পড়ুন: “তাঁদের লক্ষ্য আমি নই”, নিশানায় কে রয়েছেন, গ্রেফতারির পর বিস্ফোরক দাবি মণীশ সিসোদিয়া

AAP প্রধান মুখপাত্র সৌরভ ভরদ্বাজ একটি সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন। “দিল্লি মন্ত্রিসভার আকার বেশ ছোট এবং দুই সিনিয়র মন্ত্রী বেশিরভাগ গুরুত্বপূর্ণ পোর্টফোলিওতে অধিষ্ঠিত ছিলেন। তাদের অনুপস্থিতিতে কাজ যাতে বাধাগ্রস্ত না হয় এবং দিল্লির নাগরিকদের অসুবিধা না হয় তা নিশ্চিত করার জন্য, জৈন এবং সিসোদিয়া তাদের পদত্যাগ করেছেন। নতুন মন্ত্রীদের শীঘ্রই মন্ত্রী পরিষদে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।” দুটি নাম সামনে আস্লেও শেষ পর্যন্ত দুই গুরু দায়িত্ব কাদের উপর যায় সেই দিকে নজর রয়েছে গোটা রাজনৈতিক মহলের।  উল্লেখ্য, সতেন্দ্র  জৈনকে গত বছরের  ৩০ মে ED গ্রেফতার করেছিল এবং তারপর থেকে তিনি তিহার জেলে বন্দী রয়েছেন। অন্যদিকে সিসোদিয়াকে ২৬ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয়বারের মতো দিল্লি আবগারি নীতি ২০২১-২২-এ কথিত দুর্নীতির তদন্তের জন্য ডাকা হয়েছিল এবং গেফতার করা হয়।