
ত্রিপুরাঃ ত্রিপুরায় সিপিআইএম (cpim) ও কংগ্রেসকর্মীর (congress) বাড়িতে হামলার (attack) অভিযোগ। বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ। বিরোধী রাজনীতি করেন বলেই এই হামলা। জানাচ্ছেন আক্রান্তরা।
আরও পড়ুন :ভয়াবহ বিস্ফোরণে লাইনচ্যুত ট্রেন, ফিরল জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেসের স্মৃতি
সদ্য ঘোষণা হয়েছে ত্রিপুরা, মেঘালয় ও নাগাল্যান্ডের ভোটের দিনক্ষণ। বুধবার মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এই তিন রাজ্যের ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করেছেন। ৬০ আসনের ত্রিপুরায় লড়াই ১৬ ফেব্রুয়ারি। অন্যদিকে বাকি দুই রাজ্য অর্থাৎ মেঘালয় ও নাগাল্যান্ডেও নির্বাচন হবে এক দফাতেই। নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হতেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ছোট্ট পাহাড়ি রাজ্য ত্রিপুরা। বৃহষ্পতিবার রাতে সিপিআইএম ও কংগ্রেস কর্মীর বাড়িতে হানা দিল একদল দুষ্কৃতী। বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই দোকান লুটপাট ও সিপিআইএম ও কংগ্রেস কর্মীদের প্রাণে মারার চেষ্টা করেছেন বলে অভিযোগ। সিপাহীজলা ত্রিপুরা জেলা বিশালগড় উত্তর ব্রজপুর এলাকার ৪ নং ওয়ার্ডের ঘটনা।
সম্প্রতি ত্রিপুরা নির্বাচন কমিশনার জিরো পোল ভাইলেন্স মিশন ২৯২ নিয়ে বিভিন্নভাবে এলাকায় শান্তি সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য সর্বদলীয় বৈঠক করেছেন। কিন্তু বাস্তব পরিস্থিতির সঙ্গে তার কোন মিল নেই বলে অভিযোগ করেছেন কংগ্রেস (congress) ও সিপিআইএম (cpim)। জানা যাচ্ছে বৃহষ্পতিবার রাতে বিজেপির কর্মীরা স্কোয়াডিং করার পথে এলাকার কংগ্রেস কর্মী সঞ্জীব দেবনাথের বাড়িতে অতর্কিতে আক্রমণ চালান। ভেঙে চুরমার করে দেওয়া হয় বাড়ির সীমানার সমস্ত বেড়া। কংগ্রেস কর্মী সঞ্জিত দেবনাথের ভাইয়ের দোকানেও লুটপাট চালানো হয় বলে অভিযোগ। মিথ্যা অপবাদে কংগ্রেস কর্মীদের গ্রেফতার করা যাবে না। এই দাবিতে বিশালগড় থানার সামনে বিক্ষোভ দেখান সঞ্জীব দেবনাথ । অভিযোগ এরপরই বৃহস্পতিবার রাতে কংগ্রেস কর্মীর বাড়িতে এই আক্রমণ। অন্যদিকে, সিপিআইএম কর্মী শিখা দেবনাথের বাড়িতেও বিজেপি কর্মীরা স্কোয়াডিংয়ের নামে আক্রমণ করে বলে অভিযোগ।এই নিয়ে সিপিআইএম কর্মী শিখা দেবনাথের বাড়িতে চারবার আক্রমণের ঘটনা ঘটে। অপরাধ একটাই সিপিআইএম (cpim) কর্মী হিসেবে শিখা দেবনাথ এলাকায় কাজ করে চলেছেন ।
আরও পড়ুন :জনগণমন তখনও জাতীয় সঙ্গীত হয়ে ওঠেনি, প্রথম গাওয়া হয়েছিল আজাদ হিন্দ ফৌজে
কংগ্রেস (congress) ও সিপিআইএম (cpim) কর্মীর বাড়িতে আক্রমণ (attack) চলাকালীন পার্শ্ববর্তী এলাকাবাসীরা ছুটে আসেননি বলে জানাচ্ছেন আক্রান্তরা। অভিযোগ দুর্বৃত্তরা এতটাই উগ্র হয়ে উঠেছিলেন যে এলাকাবাসী সহায়তার জন্য এগিয়ে আসতে সাহস পান নি। ভোটের মুখে এই ধরনের ঘটনা আতঙ্ক ধরিয়েছে সাধারণের মনে। ভোটদান কতটা নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে হওয়া সম্ভব হবে সেই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। এই ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে যান সিপাহীজলা ত্রিপুরা জেলা বিশালগড় থানার সাব ইন্সপেক্টর বিশ্বজিৎ দাস সহ আধাসামরিক বাহিনীর জওয়ান ও নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকরাও।