খাসডেস্ক: নিউ দিল্লি যাওয়ার পথে ট্রেনের মধ্যে সহ যাত্রীদের মারে মৃত্যু হল এক রেলকর্মীর। ১১ বছরের এক শিশুকন্যাকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে ওই রেলকর্মীর বিরুদ্ধে। বুধবার রাতে বিহারের বারাউনি থেকে নাবালিকার পরিবার হামসাফার এক্সপ্রেসে ওঠে। জানা যায় ট্রেন ছাড়ার বেশ কিছুক্ষণ পর নিহত রেলের গ্রুপ ডি কর্মী প্রশান্ত কুমার নিজের সিটটি নাবালিকাকে ছেড়ে দেয়। অভিযোগ এরপর নাবালিকার মা শৌচাগারে যেতেই শিশুকন্যাকে যৌন নির্যাতন (MOLESTATION) করেন প্রশান্ত।
আরও পড়ুন: বাঁচবে শহরের ‘ফুসফুস’, সুপ্রিম নির্দেশে আপাতত নতুন আশা
নাবালিকার মা শৌচাগার থেকে বেরোতেই শিশুকন্যা তার মায়ের কাছে ছুটে যায় ও মাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে শুরু করে। সে তার মাকে শৌচাগারে নিয়ে যায়। তার সঙ্গে কি হয়েছে পুরোটাই জানায়। সব জানার পর শিশুকন্যার মা তাঁর স্বামী ও পরিবারের বাকি সদস্যদের সব কথা জানায়। সহযাত্রীদেরও ঘটনার কথা জানানো হয়। লখনউর আশিসবাগ জংশন থেকে ট্রেনটি ছাড়তেই যাত্রীরা উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। অভিযুক্তকে টেনে দরজার কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। কানপুর স্টেশন না আসা পর্যন্ত অভিযুক্তকে মারধর করা হয়। প্রায় দেড়ঘণ্টা ধরে চলে মারধর। ভোর ৪ টে বেজে ৩৫ মিনিটে কানপুর স্টেশনে পৌঁছায় ট্রেন। জিআরপি অভিযুক্তকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। চিকিৎসকরা তৎক্ষণাৎ যুবককে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: তদন্তে বড় মোড় হতে পারে এই পরীক্ষা, ধৃত সঞ্জয়কে নিয়ে নয়া সিদ্ধান্ত CBI এর
নির্যাতিতা শিশুকন্যার পরিবার প্রশান্ত কুমারের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের (MOLESTATION) অভিযোগ দায়ের করেছে। অন্যদিকে মৃত প্রশান্ত কুমারের পরিবার খুনের মামলা দায়ের করেছে। অভিযুক্ত প্রশান্ত কুমারের পরিবার দাবি করেছে, “প্রশান্ত এইরকম মানুষই ছিলেন না। সে ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছে। দীর্ঘক্ষণ ধরে তাঁকে মারধর করা হয়। সেখানে কোন জিআরপিও ছিল না”।