
রাঁচি: যে সমস্ত রাজ্য বিজেপির দখলে নেই সেই সমস্ত রাজ্য কিভাবে দখল করা যায় সেই পরিকল্পনাই করছে গেরুয়া বাহিনী। নজরে থাকা রাজ্যের মধ্যে রয়েছে ঝাড়খণ্ড। গত বছর থেকেই হিমন্ত সোরেনর সরকার ফেলার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে বিজেপি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ শনিবার ঝাড়খণ্ডে থেকে জানিয়েছেন দেশের সবথেকে দুর্নীতিগ্রস্ত রাজ্য সরকার কোনটা। এই মন্তব্য ঘিরেই রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রবিবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করে বলেছেন, হেমন্ত সোরেনের সরকার দেশের “সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত”। এমনকি মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে শাহ অভিযোগ এনে বলেছেন ভোটের লোভে সাঁওতাল পরগনা জেলার জনসংখ্যা পরিবর্তন করছেন মুখ্যমন্ত্রী। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দেওঘরে IFFCO ন্যানো ইউরিয়া (তরল) সারের প্ল্যান্টের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করতে ঝাড়খণ্ডে গিয়েছিলেন। সেখানে একটি সমাবেশে বক্তৃতা দেওয়ার সময় এম্নটা মন্তব্য করেছেন তিনি। কটাক্ষ করে বলেছেন, “হেমন্ত বাবু, মন দিয়ে শুনুন, ঝাড়খণ্ডে দেশের সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত সরকার রয়েছে। দুর্নীতির জন্য ট্রাক্টর এবং রেল ওয়াগন ব্যবহার করছে। কিছুটা লজ্জা করুন, হতদরিদ্রদের জন্য অর্থ দিল্লি দরবারে ছিনিয়ে নেওয়া হচ্ছে।”
আরও পড়ুন- ‘কুণাল ঘোষ, আপনার প্রাক্তন বন্দি’, প্রেসিডেন্সি জেলের সুপারকে উপহারে ‘বন্দির ডায়েরি’
এমনকি শাহ রাজ্যে দুটি খুনের কথাও উল্লেখ করেছেন। যার মধ্যে রয়েছে দুমকায় একটি কিশোরী মেয়ের গায়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার ঘটনা এবং রেভেঙ্কা পাহাড়িনের ঘটনা যার দেহ টুকরো টুকরো টুকরো করে কেটে ফেলা হয়। শাহ মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, “আদিবাসী কন্যাদের হত্যা করা হচ্ছে এবং মুখ্যমন্ত্রী কিছুই করেননি”। অমিত শাহ দিন জানিয়েছেন দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী ঝাড়খণ্ড তৈরির পথ প্রশস্ত করেছিলেন যাতে দলিত, অনগ্রসর এবং উপজাতি সম্প্রদায়ের মানুষদের মুক্তি দেওয়া যায়। কিন্তু হেমন্ত সরেনের সরকার রাজ্যের মানুষের জন্য কিছুই করছেন বলেই বারে বারে এদিন অভিযোগ করেন শাহ।