হিমাচল প্রদেশ: বিগত কয়েকদিন ধরেই হিমাচল (Himachal Pradesh) এবং উত্তরাখন্ডে চলছে মেঘভাঙ্গা বৃষ্টি। প্রাণ হারিয়েছিলেন বহু মানুষ। তারপরেও রেহাই মেলেনি হিমাচলবাসীদের। গত বুধবার রাতে ফের আচমকাই মেঘভাঙ্গা বৃষ্টি শুরু হয় হিমাচলের একটি গ্রামে। আর তার জেরেই ভেসে যায় গ্রামটি। প্রাণ হারিয়েছে একাধিক মানুষ। উদ্ধারকাজে তৎপর বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, গত ৭ আগস্ট ভারী বৃষ্টিতে ভেসেছে হিমাচল প্রদেশের (Himachal Pradesh) একাংশ। ভেসে গিয়েছে সামেজ গ্রাম। হিমাচল প্রদেশের শিমলা (Shimla) জেলার একটি ছোট গ্রাম সামেজ। বুধবার গভীর রাতে মেঘভাঙা বৃষ্টি হয়েছে শ্রীখণ্ডের কাছে সামেজ এবং বাগী সেতুর মাঝামাঝি এলাকাতেও। ইতিমধ্যেই উদ্ধার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। এই ঘটনার জেরে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত ১৩ জনের দেহ উদ্ধার করেছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল (N.D.R.F)। এখনও নিখোঁজ বেশ কিছু মানুষ।
হিমাচলের মান্ডি (Mandi) জেলায়ও জোগিন্দরনগরে গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বাধিক ১১০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। আর ফের এই প্রকৃতির রোশে প্রাণ হারালো বেশ কিছু মানুষ। এইদিন ভারী বৃষ্টি হয়েছিল হিমাচলের সিরমাউর জেলাতেও। আর তাই মেঘভাঙ্গা বৃষ্টির জেরে আগামী কয়েক দিন কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে হিমাচল প্রদেশের (Himachal Pradesh) মান্ডি, বিলাসপুর, হামিরপুর, কাংড়া এবং চাম্বা জেলায়।
N.D.R.F কম্যান্ড্যান্ট সংবাদসংস্থাকে বলেছেন, ‘‘হিমাচল প্রদেশের (Himachal Pradesh) বিভিন্ন দুর্গম এলাকায় উদ্ধারকাজ চালানোর জন্য আগে থেকেই প্রস্তুত ছিলেন জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল। সামেজে বার বার মেঘভাঙা বৃষ্টি নতুন নয়। এটি একটি প্রাকৃতিক বিপর্যয়। তৎপরতার সঙ্গে উদ্ধারকাজ চলাচ্ছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত সেখানে প্রায় ১৩টি মৃতদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।’’
প্রসঙ্গত, গত ৩১ জুলাই মেঘভাঙা বৃষ্টির পর ফের ভারী বৃষ্টি সামেজে। মেঘভাঙ্গা বৃষ্টির জেরে আগেও যেখানে নিখোঁজ ছিলেন অন্তত ৩৩ জন। তবে এর পরপরই আবাও মেঘ ভাঙ্গা বৃষ্টি হল গত বুধবার। তাতেও আবার প্রাণ গেল ১৩ জনের। নিখোঁজ এখনও বেশ কিছু মানুষ। গত ৩১ জুলাই মেঘ ভাঙ্গা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল শিমলা (Shimla), মান্ডি (Mandi) এবং কুলু (Kullu) জেলাও। সরকারি সূত্রে খবর, গত জুন থেকে আগস্ট মাস পর্যন্ত রাজ্যে শুধুমাত্র বৃষ্টির কারণে দুর্ঘটনাতেই প্রাণ হারিয়েছিল প্রায় ৭৯ জন। গত জুলাইয়ে হড়পা বাণে কুলুর নির্মান্দ, মালানা, মান্ডির পাধার, শিমলার রামপুরে প্রায় ৮ জনের মৃত্যু হয়েছিল।