নয়া দিল্লি: করোনা আবহে অতিমারীর দাপটে চরম সমস্যার মুখোমুখি যৌনকর্মীরা৷ তাঁদের রেশন নিয়মিত করার বিষয়ে আদালতে রুজু হয়েছিল জনস্বার্থ মামলা৷ ওই মামলার শুনানিতেই সোমবার শীর্ষ আদালতে মুখ ঝামটা খেল রাজ্য৷
শীর্ষ আদালত সূত্রের খবর, এবিষয়ে দেশের সব রাজ্যকে স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল৷ অন্যান্য রাজ্য যৌন কর্মীদের রেশন সংক্রান্ত বিষয়ে তাঁদের স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দিলেও পশ্চিমবঙ্গের তরফে এখনও এবিষয়ে কোনও স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়নি৷ এতেই এদিন তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে রাজ্যকে ভর্ৎসনা করেন বিচারপতি৷ অবিলম্বে এবিষয়ে রাজ্যকে তাঁর রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়৷
আদালত সূত্রের খবর, গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর এবিষয়ে দায়ের হওয়া একটি মামলার প্রেক্ষিতে যৌনকর্মীদের সমস্যাগুলির কথা বিবেচনা করার জন্য রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে তাদের শুকনো রেশন সরবরাহ করতে নির্দেশ দিয়েছিল। এদিন শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি এল নাগেশ্বর রাও এবং বিচারপতি বি আর গভাইয়ের বেঞ্চে মামলার শুনানি ওঠে৷
আদালত সূত্রের খবর, সেখানে রাজ্যের ভূমিকার তীব্র নিন্দা করে বিচারপতিদ্বয় জানান, অতিমারীর পরিস্থিতিতে রেশনের মতো সামগ্রীকে কেন্দ্র করে যেখানে মানুষের জীবন ধারনের বিষয়টি রয়েছে সেখানে রাজ্যের উচিত ছিল বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখা৷ কিন্তু স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা না দিয়ে আদতে রাজ্য যে গুরুত্ব দেওয়ার পরিবর্তে গাফিলতি করেছে তা স্পষ্ট৷
আদালত সূত্রের খবর, রাজ্যের আইনজীবী বলার চেষ্টা করেন যে অন্যান্য রাজ্যের মতো বাংলাতেও যৌনকর্মীদের রেশনে শুকনো খাবার দেওয়া হয়৷ যদিও বিচারপতি দ্বয় রাজ্যের আইনজীবীকে থামিয়ে দিয়ে বলেন, ‘‘মুখের কথা শুনব না৷ দু’ সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা জমা দিয়ে এবিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানান৷’’
আরও পড়ুন: সরকারের কাছে মানুষের জীবনের থেকে একজনের কাউন্সিলর হওয়া বেশি গুরুত্বপূর্ণ: Shamik Bhattacharya
আরও পড়ুন: পথে নিরাপত্তা নেই, অথচ বাড়িতে উঁকি দিচ্ছে রাজ্য: Suvendu Adhikari