নয়া দিল্লি: গত ৩০ জুলাই এক ভয়ংকর রাত হয়ে এসেছিল কেরলবাসীদের জীবনে। মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে পাহাড় ভেঙে ধস নেমেছিল। পাথর এবং কাদামাটি ভাসিয়ে নিয়ে গিয়েছিল গ্রামের পর গ্রাম। এক নিমেষেই যেন সব শেষ হয়ে গিয়েছিল। এই বিপর্যয়ে প্রাণ হারিয়েছে শতাধিক মানুষ। এত মানুষের মৃত্যুতে ও ক্ষয়ক্ষতির পর ওয়ানাডের (Wayanad) ধসকে ‘জাতীয় বিপর্যয়’ ঘোষনার দাবি জানিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। কয়েকদিন আগেই ওয়ানাডের বিপর্যস্ত এলাকা পরিদর্শন করে রাহুল। এবার তাঁর কথাতেই সায় দিলেন বিরোধী সাংসদরা। বিরোধীরাও এই বিপর্যয়কে ‘জাতীয় বিপর্যয়’ (National Disaster) ঘোষণা করার দাবি জানাল।
ওয়ানাডে (Wayanad) ধসে প্রাণ হারিয়েছে প্রায় ৩০০-র বেশি মানুষ। তবে এখনও নিখোঁজ বহু মানুষ। এখনও চলছে উদ্ধারকাজ। তবে ৩০০-র বেশি মানুষ প্রাণ হারনোয় এই বিপর্যয়কে ‘জাতীয় বিপর্যয়’ (National Disaster) ঘোষনার দাবি করেছে বিরোধী সংসদেরা। তবে এটি কী আদেও জাতীয় বিপর্যয়?
সম্প্রতি ওয়ানাডের (Wayanad) বিপর্যস্ত এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন কংগ্রেস সাংসদ তথা বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। তিনি বিপর্যস্ত এলাকাগুলি ঘুরে দেখেছিলেন। শনিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও আকাশপথে ওয়ানাডে ধসে বিপর্যস্ত এলাকা পরিদর্শন করে দেখেন। তবে বিরোধী দলগুলি দাবি করেছেন, ওয়ানাডের ভূমিধসকে ‘জাতীয় বিপর্যয়’ (National Disaster) বলে ঘোষণা করার।
তবে ২০১৩ সালে লোকসভায় তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মুল্লাপাল্লি রামাচন্দ্রন বলেছিলেন, যে কোনো প্রাকৃতিক বিপর্যয়কে ‘জাতীয় বিপর্যয়’ (National Disaster) হিসাবে ঘোষণা করা যায় না। সরকার, বিপর্যস্ত এলাকার পরিস্থিতি, ভয়াবহতা, উদ্ধারকাজ এবং রাজ্য সরকারের বিপর্যয় মোকাবিলার ক্ষমতা প্রভৃতি বিচার করে তবেই বিপর্যয়ের মাত্রা নির্ণয় করা হয়।
এই কথার জবাবে কেন্দ্র জানিয়েছিল, সরকার দ্রুত উদ্ধারকাজেই অগ্রাধিকার দেয়। বিপর্যয় ঘোষণার ক্ষেত্রে কোনও নির্দিষ্ট নিয়ম নেই। তবে ভয়ঙ্কর মাত্রার কোনো বিপর্যয়ে, ‘জাতীয় বিপর্যয়’ (National Disaster) মোকাবিলা তহবিল থেকে অতিরিক্ত সাহায্য পাঠানো হয়। রাজ্য সরকারেরও প্রাথমিক দায়িত্ব থাকে প্রয়োজনীয় উদ্ধারকাজ ও ত্রাণের ব্যবস্থা করা। এমনটাই জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার।