নয়াদিল্লি: ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে সংখ্যা গরিষ্ঠতা নিয়ে দিল্লির মসনদে পা রেখেছিলেন মোদি। তারপর নদী দিয়ে অনেক জল চলে গেছে। মোদির দ্বিতীয় জামানায় দ্বিতীয়বার বাজেট পেশ আজকে। সেই দিকেই তাকিয়ে তামাম দেশবাসী। বিশ্ব অর্থনীতিও ঝুঁকে আছে সেদিকে। বেহাল অর্থনীতিতে কি হাল ধরতে পারবেন মোদির মন্ত্রিসভার সদস্যা দেশের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। তিনি কিভাবে অর্থনৈতিক মন্দার প্রকোপ কাটিয়ে উঠবেন লক্ষ্য সেদিকেই। বেকারত্ব, জিডিপি একাধিক বিষয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়েছে মোদি সরকার। বারবার চেষ্টা করেও অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে পারেনি মোদি ব্রিগেড। আজ সেই অগ্নিপরীক্ষার সামনে দাঁড়িয়ে পদ্ম শিবির।
বাজেটের আগে শুক্রবার প্রকাশিত আর্থিক সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছে, আগামী অর্থবর্ষে আর্থিক বৃদ্ধির হার থাকবে ৬ শতাংশ থেকে ৬.৫ শতাংশের মধ্যে। তবে আর্থিক বৃদ্ধিকে সেই শতাংশের হারে নিয়ে যাওয়া আদৌ সম্ভব কি না, তা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে। কারণ, ওই সমীক্ষাতেই মেনে নেওয়া হয়েছে, চলতি বছর বৃদ্ধির হার ৫ শতাংশেই আটকে থাকবে।
জিডিপি বৃদ্ধির হার নীচের দিকে নামতে নামতে গত জুলাই-সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকে ঠেকেছে ৪.৫ শতাংশে। যা ২০১৩-র পর থেকে সর্বনিম্ন। বিশেষজ্ঞদের অনুমান, এই ঝিমিয়ে পড়া অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে হয়তো পরিকাঠামো খাতে বড়সড় বিনিয়োগের কথা ঘোষণা করতে পারেন অর্থমন্ত্রী। ইতিমধ্যেই যে খাতে ১০৫ লক্ষ কোটি টাকার বিনিয়োগ করেছে নরেন্দ্র মোদি সরকার। তবে শুধু এখানেই আটকে থাকলে হবে না। দেশের বহু বিষয়ের ওপর সামঞ্জস্যতা বজায় রাখার চ্যালেঞ্জ অর্থমন্ত্রীর কাছে।