নিজস্ব সংবাদদাতা, আগরতলা: উপদলীয় নেতা তথা প্রাক্তন মন্ত্রী বাদল চৌধুরী সহ সিপিআইএম নেতৃত্বদের উপর হামলার ঘটনায় রাজ্য রাজ্যনীতিতে উত্তাল। মামলা ও পাল্টা মামলার পাশাপাশি শাসক বিজেপি দল ও সিপিআইএম দলের মধ্যে তর্জা তুঙ্গে। উভয় দলের পক্ষ থেকে চলছে মিটিং-মিছিল৷
গত বুধবার দুপুরে দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলা বিলোনীয়া ঋষ্যমুখ ব্লকের মানিরাম বাড়িতে ধনঞ্জয় ত্রিপুরার দান দিবস পালন করতে গিয়েছিলেন৷ সেখানে বাদল চৌধুরী সহ সিপিআইএমের নেতৃত্বদের উপর প্রাণঘাতি হামলার ঘটনার সঙ্গে শাসকদলের বাইক বাহিনী জড়িত বলে বিরোধী সিপিআইএম এর দলের পক্ষ দাবি করে৷
বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয় দলীয় আভ্যন্তরীণ কোন্দলের জেরে এই ঘটনা ঘটেছে। বিজেপিকে বদনাম করার জন্য, দলের ভাব মূর্তি নষ্ট করতে এই মিথ্যা প্রচার করছে সিপিআইএম দল। এরপরই পাল্টা মিছিল ঘিরে বিলোনিয়াতে সরগরম রাজ্যনীতি।
বাদল চৌধুরীর উপর হামলার প্রতিবাদে সিপিআইএম-এর পক্ষ থেকে ডাক দেওয়া হয় এক প্রতিবাদ মিছিল। অপরদিকে একই সময়ে বিজেপি দলও পাল্টা মিছিলের ডাক দেয়। মিছিলের জেরে আরক্ষা প্রসাশনের তৎপরতা বেড়ে যায়, বিলোনিয়া শহরে নামানো হয় বিশাল পুলিশ ও টিএসআর বাহিনী।
রনসাজে সজ্জিত হয়ে থাকে পুলিশ ও টিএসআর বাহিনী। এই দিনের আয়োজিত প্রতিবাদ মিছিলটি সিপিআইএম দলীয় কার্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে বাদল চৌধুরীর উপর হামলা কারীদের গ্ৰেফতারের দাবি তুলে বের হওয়ার পর একশো গজ এগোতে পারেনি প্রতিবাদ মিছিলটি৷
এর আগেই পুলিশ গতিরোধ করে দেয় সিপিআইএম এর প্রতিবাদ মিছিলটি। বাঁধা পেয়ে একসময় সাময়িক উত্তেজনা দেখা দিলেও নেতৃত্বদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে উঠে। রাস্তায় দাঁড়িয়ে স্লোগান সোচ্চারিত বিক্ষোভ দেখায়। এরপর সিপিআইএম বিলোনিয়া মহকুমা কমিটির সম্পাদক তাপস দত্ত বিক্ষোভস্থলে আলোচনা রাখতে গিয়ে বলেন, ‘‘বিজেপি গণতান্ত্রিক পদ্ধতি আন্দোলনকে ভয় পেয়েছে, তাই তারা আক্রমণ করছে। এই আক্রমন বরদাস্ত করা যাবে না।’’