খাস ডেস্ক: সারা দেশজুড়ে যৌননিগ্রহ ও ধর্ষণের ঘটনা বিপজ্জনকভাবে বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে নানা মহল থেকে উদ্বেগ প্রকাশ করা হলেও পরিস্থিতির কোনও পরিবর্তন হচ্ছে না। এবার বিহারে এক নাবালিকাকে ধর্ষণের ঘটনা সামনে এল। সূত্রের খবর, দরিদ্র পরিবারের ওই নাবালিকা গণধর্ষণের শিকার হয়েছে।
সূত্রের খবর, ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের সহর্ষে। ধর্ষিতা ওই নাবালিকার বয়স ১৪ বছর। গণধর্ষণের ঘটনাটি ঘটেছে রাজধানী পাটনা থেকে ১৮০ কিলোমিটার দূরবর্তী এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, দুই ধর্ষককে চিহ্নিত করা হয়েছে। এদের একজনের নাম বিট্টু, অপরজনের নাম অঙ্কুশ।
সূত্রের খবর, ১৪ বছরের ওই কিশোরী ছাগল চরানোর জন্যে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল। এসময়ে রাস্তা সংলগ্ন এলাকায় একটি গাড়ি ওই নাবালিকার সামনে থামে। গাড়িতে চালক-সহ মোট তিনজন ছিলেন। এদের মধ্যে একজন ওই নাবালিকার মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে ওকে ভয় দেখায়। এরপর গাড়ির ভিতরে টেনে নিয়ে গিয়ে ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, গণধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত দুজনকে চিহ্নিত করা হলেও তাদের এপর্যন্ত গ্রেফতার করা যায়নি। টানা দুঘণ্টা যাবৎ ওই কিশোরীর উপর চলেছে পাশবিক অত্যাচার। ধর্ষিতা কিশোরী ঘরে ফেরার পরে তার বাবা-মাকে প্রথমে ঘটনাটির কথা বলতে চায়নি। এরপর তার ছেঁড়া জামাকাপড় দেখে অভিভাবকরা তাকে কী ঘটেছে তা জানানোর জন্যে চাপ দিলে ঘটনার কথা জানায় ওই কিশোরী। অভিভাবকদের অভিযোগ, ঘটনার কথা ধামাচাপা দিতে তাদের টাকা নেওয়ার প্র্স্তাব দেওয়া হয় অভিযুক্তদের পরিবারের তরফে। এও বলা হয়, ওই টাকা কিশোরীর বিয়েতে ওরা খরচ করতে পারেন। তবে এই প্রস্তাব নাকচ করে অভিযুক্তদের পরিবারের তরফে দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে।