খাস ডেস্ক: আরজিকর কাণ্ডে গোটা রাজ্য তথা সমগ্র বিশ্বজুড়ে উত্তাল৷ বিচারের দাবিতে সোচ্চার৷ হাসপাতালে চিকিৎসক বা নার্স কতটা নিরাপদ? মহিলারা কি সত্যিই কর্মস্থলে সুরক্ষিত? এই সব প্রশ্ন ওঠায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা গ্রহণ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। শুধু মামলা গ্রহণই নয়, প্রথম দিনের শুনানিতেই তিন বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়ে দিল এই ইস্যুতে একটি ‘ন্যাশনাল টাস্ক ফোর্স’ গঠন করা হচ্ছে। সেই টাস্ক ফোর্সে থাকবেন দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের চিকিৎসকেরা।
আরজিকরে মহিলা চিকিৎসককে খুন ও হত্যার ঘটনায় এদিন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় সারা দেশের চিকিৎসকদের নিরাপত্তার জন্যে ন্যাশনাল টাস্ক ফোর্স গঠন করলেন। এছাড়া এদিন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় নির্দেশ দিয়েছেন, আগামী দুমাসের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টকে এ সংক্রান্ত চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা দিতে হবে।
কারা থাকবেন এই টাস্ক ফোর্সে?
সার্জেন ভাইস অ্যাডমিরাল আরতি সারিন, ড. নাগেশ্বর রেড্ডি, ড. এম শ্রীনিবাস, ড. প্রতিমা মূর্তি, ড. গোবর্ধন দত্ত পুরী, ড. সৌমিত্র রাওয়াত, অধ্যাপক অনীতা সাক্সেনা, অধ্যাপক পল্লবী সাপ্রে, ড. পদ্মা শ্রীবাস্তব৷ এছাড়াও এই টাস্ক ফোর্সে থাকবেন কেন্দ্রীয় সরকারের ক্যাবিনেট সেক্রেটারি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব, ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশনের চেয়ারম্যান, ন্যাশনাল বোর্ড অব এক্সামিনার্স।
হাসপাতালগুলিতে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তায় ‘সুপ্রিম’ নির্দেশ:
১. ন্যাশনাল টাস্ক ফোর্সে থাকছে ১০ জন চিকিত্সক।
২. এমার্জেন্সি রুমে অতিরিক্ত নিরাপত্তা।
৩. নেশাগ্রস্ত কোনও ব্যক্তিকে হাসপাতালে প্রবেশ করা থেকে আটকাতে হবে।
৪. অস্ত্র নিয়ে যাতে কেউ প্রবেশ করতে না পারে, তার জন্য পরীক্ষার ব্যবস্থা। থাকবে বায়োমেট্রিক ও ফেসিয়াল রেকগনিশন।
৫. হাসপাতালে সঠিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
৬. রোগী ছাড়া অন্য কারও প্রবেশের ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ। ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
৭. ইনটার্ন সহ সমস্ত চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
৮. সর্বত্র থাকবে যথেষ্ট আলো, থাকবে সিসিটিভি। নির্দিষ্ট সময় অন্তর নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে হবে।
৯. রেস্টরুম এবং ডিউটি রুম আলাদা করতে হবে। পুরুষদের আলাদা, মহিলাদের আলাদা। নার্সদের জন্য আলাদা করতে হবে।
১০. রেস্টুরুমে এবং ডিউটি রুমে গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসের মাধ্যমে।
১১. রাত ১০ টার পর ও সকাল ৬টার সময় যাতায়াতের জন্য গাড়ির ব্যবস্থা থাকবে।
১২. হাসপাতালে প্রবেশ এবং বাইরের পথে সিসিটিভি ক্যামেরা। করিডোরে সিসিটিভি বসাতে হবে।
১৩. সমস্ত জায়গায় আলো দিতে হবে।
১৪. জরুরি পরিস্থিতিতে নার্স, চিকিৎসকদের জন্য হেল্পলাইন নম্বর চালু করতে হবে। যেটা সর্বক্ষণ সচল থাকবে।
১৫. সব হাসপাতাল এবং নার্সিংহোম যৌন নির্যাতন রুখতে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মতো কমপ্লেইন কমিটি গঠন করতে হবে।