খাস ডেস্ক: মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট তিরস্কার করল পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে। আরজিকরে ঘটনার জেরে এদিন সুপ্রিম কোর্টেও ব্যাকফুটে রাজ্য সরকার। আরজিকরে মহিলা চিকিৎসককে খুন ও হত্যার ঘটনায় এদিন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় সারা দেশের চিকিৎসকদের নিরাপত্তার জন্যে ন্যাশনাল টাস্ক ফোর্স গঠন করলেন। আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে টাস্ক ফোর্সকে সুপ্রিম কোর্টে অন্তর্বর্তী রিপোর্ট দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।
এছাড়া এদিন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় নির্দেশ দিয়েছেন, আগামী দুমাসের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টকে এ সংক্রান্ত চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা দিতে হবে। প্রধান বিচারপতি আরও বলেছেন, বর্তমান আইন চিকিৎসকদের প্রাতিষ্ঠানিক নিরাপত্তা দেওয়ার পক্ষে যথার্থ নয়। আরজিকরে মহিলা চিকিৎসকের ঘটনা নিয়ে সারা দেশ উত্তাল। নির্ভয়া-কাণ্ডের পরে ২০১৪ সালে এনডিএ সরকার ক্ষমতায় আসার পর খেকে সারা দেশে নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের ঘটনা বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্টকে হস্তক্ষেপ করতে হল আগামী দিনে এধরনের ঘটনা যাতে আর না ঘটে সেব্যাপারে। এদিন সুপ্রিম কোর্টের সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেছেন, পরিস্থিতি পরিবর্তনের জন্যে দেশবাসী আরেকটা ধর্ষণের জন্যে অপেক্ষা করতে পারবে না। ২২ অগাস্ট এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
এদিন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে অন্য দুই বিচারপতি হিসেবে ছিলেন জেবি পাদরিওয়ালা এবং মনোজ মিশ্র। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এবং আরজিকর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তীব্র সমালোচনা করেছে মহিলা চিকিৎসক খুন ও ধর্ষণের ঘটনার পরে দেরি করে এফআইআর দায়ের করার দায়ে। সারা দেশে চিকিৎসকরা আক্রান্ত হচ্ছেন ব্যাপক হারে। জাতীয় টাস্ক ফোর্স গঠন করে একথাও বলেছে শীর্ষ আদালত।