খাসডেস্ক: প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে আইআইটি ধানবাদে (IIT DHANBAD) সুযোগ পেয়েছিলেন দলিত পরিবারের ছেলে অতুল কুমার। ভাগ্যের পরিহাসে শেষ পর্যন্ত ভর্তি হতে পারেননি। টাকা জোগাড় করা সম্ভব না হওয়ায় ভর্তির ডেডলাইনটিও পার করে যান। আইনের দ্বারস্থ হয় ছাত্রের পরিবার। আজ, সোমবার আরজি করের নির্যাতিতার মামলা ওঠার আগে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে ওঠে দলিত পড়ুয়ার মামলাটি। প্রধান বিচারপতি মামলার শুনানি চলাকালিন বলেন, “আমরা এইরকম একজন প্রতিভাবান ছেলেকে সুযোগ হারাতে দিতে পারিনা।“
আরও পড়ুন: ১ টা দিন হাতে রেখে সন্দীপ-অভিজিতের সিবিআই হেফাজত চাইল আইনজীবী
বছর আঠারোর অতুল কুমার JEE পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। আইআইটি ধানবাদের ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে সুযোগ পান। ২৪ শে জুনের মধ্যে কলেজ ফিস দিতে পারেননি অতুল। উত্তরপ্রদেশের মুজফরনগরের বাসিন্দা এবং একজন দিনমজুরের ছেলে সে। বিষয়টি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার আগে প্রথমে ঝাড়খণ্ড হাইকোর্ট ও পরে মাদ্রাজ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন অতুল।
আরও পড়ুন: আন্না সেবেস্তিয়ানের মতো পরিণতি হল ইউপির তরুণেরও, ৫ পাতার সুইসাইড নোট লিখে আত্মঘাতী, “৪৫ দিন ঘুমোয়নি”
পড়ুয়ার আইনজীবী শীর্ষ আদালতের সামনে জানান দিনে মাত্র ৪৫০ টাকা আয় করেন অতুলের দিনমজুর বাবা। তাঁদের পক্ষে ১৭ হাজার ৫০০ টাকা দেওয়া অনেক বড় ব্যাপার। মামলা চলাকালিন শীর্ষ আদালতকে জানানো হয় নির্ধারিত দিনে ৫ টা পর্যন্ত ফিস জমা দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়। ঠিক তার ১৫ মিনিট আগে অতুলের অভিভাবকরা টাকাটি জোগাড় করে নিয়ে যান। কিছু সমস্যা থাকায় তাঁরা ফিস জমা দিতে পারেননি। বিকেল ৫ টায় পোর্টাল বন্ধ হয়ে যায়। অবশেষে জয় হয় অতুলদেরই। নির্দেশে শীর্ষ আদালত জানিয়ে দেয় কলেজ কর্তৃপক্ষকে (IIT DHANBAD) সেম ব্যাচে অতুল কুমারকে ভর্তি নিতে হবে। এরজন্য কর্তৃপক্ষকে সুপারনিউমারি সিট তৈরি করতে হবে বাকি পড়ুয়াদের বিরক্ত না করেই।