নয়াদিল্লি: স্বাধীনতার প্রাক্কালে মধ্যরাতে কলকাতা, বাংলা সহ দেশ জুড়ে উঠেছিল ঝড়। আরজি কর কাণ্ডে রাত দখলের লড়াইয়ে সফল হয়েছে মেয়েরা। ন্যায় বিচারের দাবি যে জমায়েত হয়েছিল সেই ভিড় পুজোর রাতেও কলকাতাতে মানুষ দেখেছে কিনা তা কারও জানা নেই। আজ ৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস। লালকেল্লা থেকে ভাষন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানেই তাঁর গলায় শোনা গেল নারী সুরক্ষার কথা।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার যখন কলকাতার আরজি করে একজন চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় ব্যাপক ক্ষোভ ও প্রতিবাদের মুখোমুখি হচ্ছে তখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্বাধীনতা দিবসের দিনে বলেছেন তিনি নারীদের বিরুদ্ধে নৃশংসতার বিষয়ে সমাজে ক্ষোভ অনুভব করেন এবং রাজ্য সরকারগুলিকে এটিকে গুরুত্ব সহকারে নেওয়া দরকার। স্বাধীনতা দিবসে জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “দেশ বিমান বাহিনী, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং মহাকাশ খাতসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীদের নেতৃত্ব প্রত্যক্ষ করছে। কিন্তু কিছু উদ্বেগজনক ঘটনাও আছে। সমাজ হিসাবে আমাদের মহিলাদের উপরে হওয়া নির্যাতন নিয়ে গভীরভাবে ভাবনাচিন্তা করা উচিত। দেশজুড়ে মানুষ ক্ষুব্ধ এই অত্যাচার নিয়ে। আমি এই ক্ষোভ বুঝতে পারছি। দেশ, সমাজ ও রাজ্য সরকারকে গুরুত্ব সহকারে এই দায়িত্ব নিতে হবে। মহিলাদের বিরুদ্ধে হওয়া অত্যাচার-অপরাধের দ্রুত তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। সমাজে আস্থা ফেরাতে এটা খুব জরুরি।”
যদিও এদিন আরজি কররে নাম শোনা যায়নি প্রধানমন্ত্রীর মুখে তবে না না করেই এই ঘটনার কথা বলেছেন বলেই জানাচ্ছে রাজনৈতিক মহল। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “দ্রুত শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে যাতে অপরাধীদের মধ্যে ভীতি তৈরি হয়। আমি সমাজের উদ্দেশে এটাও বলতে চাই যে, যখন নারীদের ওপর ধর্ষণ ও নৃশংসতার ঘটনা ঘটে, তখন তা ব্যাপকভাবে আলোচিত হয়, কিন্তু যখন অপরাধীকে শাস্তি দেওয়া হয়, তখন তা খবরে দেখা যায় না, শুধু একটি কোণেই সীমাবদ্ধ থাকে খবর। যারা শাস্তি পাচ্ছেন তাদের নিয়েও ব্যাপক আলোচনা হওয়া উচিত, যাতে যারা পাপ করে, তারা বুঝতে পারে। আমি মনে করি এই ভয় তৈরি করা খুবই জরুরি।”