নয়াদিল্লি: পাঞ্জাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কনভয় আটকে থাকার ঘটনার রেশ এখনও কাটেনি। জল যে অনেকদূর গড়িয়েছে তা সাম্প্রতিক ঘটনা থেকেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। জল গড়িয়েছে শীর্ষ আদালত পর্যন্তও। পাঞ্জাবের ঘটনার জন্য দায়ী করা হয়েছে রাজ্যের নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস সরকারকে। এই বিষয় নিয়েই এবার মুখ খুলেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন কেন প্রধানমন্ত্রী নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং প্রোটোকলগুলি ইচ্ছাকৃতভাবে পাঞ্জাবে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন সরকার লঙ্ঘন করেছিল।
তিন বিতর্কিত কৃষি বিল প্রত্যাহার করার পর গত ৫ জানুয়ারি পাঞ্জাব সফরের কথা ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। রওনাও দিয়েছিলেন সমাবেশের উদ্দেশ্যে কিন্তু নিরাপত্তার ত্রুটির জন্যই সমাবেশ না করেই ফিরে যেতে হয়েছিল নমোকে। ১৫-২০ মিনিট আটকে ছিল দেশের প্রধানমন্ত্রীর গাড়ি। সেই ঘটনা নিয়েই তোলপাড় হয়েছে রাজনৈতিক মহল। এই বিষয় নিয়েই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি বুধবার প্রশ্ন তোলেন কেন নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং প্রোটোকলগুলি ইচ্ছাকৃতভাবে পাঞ্জাবে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন সরকার লঙ্ঘন করেছিল। নয়াদিল্লিতে একটি সাংবাদিক সম্মেলনে ভাষণ দেওয়ার সময়, ইরানি উল্লেখ করেছেন যে কংগ্রেস দিনটিকে ‘উদযাপন’ করছিল যখন ৫ জানুয়ারী প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা লঙ্ঘন হয়েছিল। সেই সঙ্গে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, কংগ্রেসের পক্ষ থেকে কে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা লঙ্ঘন নিয়ে সবথেকে বেশি উপকৃত হয়েছিল।
Why did the Punjab CM brief a private citizen (Priyanka Gandhi Vadra) on the PM's security protocol and the breach? Why is the private citizen, who is a part of the Gandhi family, an interested party?: Union Minister Smriti Irani pic.twitter.com/v5xhiH8z6n
— ANI (@ANI) January 12, 2022
প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা লঙ্ঘন এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভাদ্রাকে ‘ব্রিফিং’ করার জন্য স্মৃতি ইরানি পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চান্নিরও নিন্দা করেছেন। সাংবাদিকদের সামনেই প্রশ্ন তোলেন, “কেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী একজন ব্যক্তিগত নাগরিককে দিয়ে (প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভাদ্রা) প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা প্রোটোকল এবং লঙ্ঘন সম্পর্কে ব্রিফ করিয়েছিলেন? কেন ব্যক্তিগত নাগরিক, যিনি গান্ধী পরিবারের একটি অংশ, একটি আগ্রহী দল?” কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর অভিযোগ করে বলেছেন, “নিরাপত্তা ব্যবস্থাগুলি ‘ইচ্ছাকৃতভাবে লঙ্ঘন’ করা হয়েছে পাঞ্জাবে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন সরকারের সক্রিয় সহযোগিতার কারণে।” “প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা লঙ্ঘন করে কংগ্রেসে কারা লাভবান হতে চেয়েছিল?” সেটাই জানতে চেয়েছেন স্মৃতি ইরানি।
প্রসঙ্গত, আজই সুপ্রিম কোর্ট ৫ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নিরাপত্তা লঙ্ঘনের ইস্যু নিয়ে তদন্তের জন্য সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি, বিচারপতি ইন্দু মালহোত্রার নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি প্যানেল গঠন করেছে। তাঁর নেতৃত্বেই চার সদস্য গোটা ঘটনার তদন্ত করবে। আসলে ঠিক সেদিন কি ঘটেছিল তা খুঁজে বের করতে শুরু হবে তদন্ত।