কলকাতা: বৃহস্পতিবার আরজিকর কাণ্ডে সুপ্রিম কোর্টে(Supreme Court) দ্বিতীয় শুনানি। তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট এদিন জমা দিয়েছে CBI। জানা গিয়েছে, সিল বন্ধ খামে আরজি কর কাণ্ডের তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট জমা দিয়েছে সিবিআই। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা ও বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চে আরজি কর মামলার শুনানি চলছে। এদিনের শুনানিতে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট থেকে শুরু করে সন্দীপ ঘোষের দুর্নীতি প্রসঙ্গ ওঠে শীর্ষ আদালতে।
প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় সিবিআই-এর দেওয়া স্ট্যাটাস রিপোর্ট খতিয়ে দেখেন। রাজ্যের তরফেও এদিন একটি রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়। প্রধান বিচারপতি তখন বলেন, রাজ্যকে কোনও স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা করতে বলা হয়নি, কলকাতা পুলিশকে বলা হয়েছিল রিপোর্ট করতে। রিপোর্ট দেখে প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন করেন, অভিযুক্তের মেডিক্যাল টেস্টের রিপোর্ট কোথায়? সলিসেটর জেনারেল বলেন, আমরা এটার সঙ্গে অভিযুক্তের মেডিক্যাল টেস্টের রিপোর্ট দিইনি।
এদিনের শুনানিতে বিচারপতি পারদিওয়ালা আইনজীবী কপিল সিব্বলের কাছে জানতে চান, আপনার টাইমলাইন অনুযায়ী ময়নাতদন্ত কখন হয়েছে? আইনজীবী সিব্বল জানান, সন্ধ্যা ৬.১০ মিনিট থেকে ৭.১০ মিনিট। বিচারপতি তখন জানতে চান, সন্ধ্যায় ময়নাতদন্ত হয়ে যাওয়ার পর কীভাবে একটি অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলা রুজু হল? আর যদি একটি অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলা না-ই হয়ে থাকে, তাহলে ময়নাতদন্তের কী প্রয়োজন ছিল?
বিচারপতি তখন বলেন, যখন আপনি ময়নাতদন্ত করছেন, তার মানে এটি একটি অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলা। যখন সন্ধ্যা ৬টা১০ মিনিট থেকে ৭টা ১০ মিনিটের মধ্যে ময়নাতদন্ত করা হয়ে যায়, তাহলে রাত সাড়ে ১১টার সময়ে অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলা রুজু করার কী প্রয়োজন ছিল? আইনজীবী সিব্বল উত্তর দেন, না, এটা এফআইআর, কেবল UD কেস নয়।
বিচারপতি পারদিওয়ালা তখন আইনজীবী সিব্বলের কাছে জানতে চান, যে রেকর্ড হাতে এসেছে, তাতে ৯ অগস্ট টালা থানায় UD কেস ৮৬১ দায়ের হয়। সেটি দায়ের হয় রাত সাড়ে এগারোটায়। এফআইআর দায়ের হয় রাত ১১.৪৫ মিনিটে। এটা কি সঠিক? আইনজীবী সিব্বল বলেন, আমাদের কাছে গোটা টাইমলাইন রয়েছে। UD কেস দায়ের হয় দুপুর ১.৪৫ মিনিটে। সলিসেটর জেনারেল তখন বলেন, না এই তথ্য একেবারেই ঠিক নয়। বিচারপতি তখন পুলিশের কোনও আধিকারিক আদালতে উপস্থিত রয়েছেন কিনা তা জানতে চান, তার কাছ থেকে ব্যাখ্যা চান।