
নয়াদিল্লি: আর পুলিশি হেফাজত নয়, লিভ-ইন পার্টনার শ্রদ্ধা ওয়াকারকে হত্যা মামলায় বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে আফতাব আমিন পুনাওয়ালাকে। শনিবার দিল্লির একটি আদালত আফতাবকে ১৩ দিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়েছে। নতুন ঠিকানা কোথায় হবে সেটাও জানানো হয়েছে।
আজ পুনাওয়ালার চার দিনের পুলিশি হেফাজতের মেয়াদ শেষ হয়েছে। আম্বেদকর হাসপাতাল থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তাকে সাকেত জেলা আদালতে হাজির করা হয়েছিল। আম্বেদকর হাসপাতালেই তাকে মেডিকেল চেক আপের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। আদালত জানিয়েছে পুনাওয়ালাকে তিহার জেলে স্থানান্তর করা হবে। পুলিশের বিশেষ কমিশনার (আইন শৃঙ্খলা) সাগর প্রীত হুদা বলেছেন, “পুলিশ পলিগ্রাফ পরীক্ষায় পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য অভিযুক্তকে হাজির করার জন্য আইনি প্রক্রিয়া শুরু করেছে।” আগামী সোমবার আম্বেদকর হাসপাতালেই আফতাবের নার্কো টেস্ট করানো হবে বলেও জানানো হয়েছে। শ্রদ্ধাকে খুনের কথা আফট্যাব স্বীকার করেছে আগেই। তবে তার পরেও জেসব তথ্য সামনে আসছে তাতে রীতিমত অবাক হচ্ছে সকলে।
আরও পড়ুন- মর্মান্তিক, পিকনিক করতে গিয়ে ছবি তোলার সময় জলপ্রপাতে ডুবে মৃত ৪ তরুণী
আফতাব পুনাওয়ালা তার লিভ-ইন পার্টনার শ্রদ্ধা ওয়াকারকে শ্বাসরোধ করে খুন করার পর দেহকে ৩৫ টুকরো করে ৩০০ লিটাররে ফ্রিজে রেখেছিল। বেশ কয়েক সপ্তাহ পর অভিযুক্ত শ্রদ্ধার দেহের কাটা অংশ মেহরাউলি বাসভবন থেকে দূরে শহর জুড়ে ১৮ দিন ধরে ফেলে দেন। পুলিশ দেহে বেশকতগুলি অংশ উদ্ধার করলেও এখনও শ্রদ্ধার কাটা মাথা উদ্ধার করা যায়নি। জেরার সময় আফতাব পুলিশকে বেশকয়েকটি ঠিকানার জানিয়েছে যেখানে সে তার প্রেমিকার দেহ ফেলেছে। এমনকি কোন অস্ত্র দিয়ে দেহ টুকরো করেছে সেটাই জানিয়েছে। তবে এখনও বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর মেলাতে পারছে না পুলিশ। আফতাব জানিয়েছে অনেকদিন আগের ঘটনা হওয়ায় সবটা সে মনে করতে পারছে না। এতেই তদন্তের কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে দিল্লি পুলিশ। কবে এই নৃশংস খুনের রহস্যের জট কাটে সেটাই এখন দেখার অপেক্ষা।