
মহারাষ্ট্র : কেজি কেজি সোনা। কয়েকশো কোটির সম্পত্তি। তিন বছর ধরে কর বাকি পড়েছিল শিরডি সাইবাবা (shirdi saibaba) মন্দিরের। করের পরিমাণ নেহাত কম নয়। ১৭৫ কোটি। এবার সেই করই মুকুব করা হল। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে কর থেকে মুকুব। জানালেন আয়কর বিভাগের কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন : ভেঙে পড়ছে ছাদ, আতঙ্কে ক্লাসঘরে তালা দিলেন শিক্ষকরা
এই মর্মে আয়কর বিভাগের তরফে একটি বিবৃতিও জারি করা হয়েছে। বিবৃতি অনুযায়ী, ‘‘২০১৫-১৬ সালের কর মূল্যায়ন করার সময়, আয়কর বিভাগ ধরে নিয়েছিল যে শ্রী সাইবাবা সংস্থা একটি ধর্মীয় ট্রাস্ট নয় বরং একটি দাতব্য ট্রাস্ট।’’বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘‘দান বাক্সে প্রাপ্ত অনুদানের উপর ৩০ শতাংশ আয়কর বসানো হবে বলেও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর পরই কর হিসাবে ১৮৩ কোটি টাকা দেওয়ার নোটিস দেওয়া হয় মন্দির ট্রাস্টকে।’’বিবৃতিতে উল্লেখ রয়েছে, নোটিস পাওয়ার পর মন্দিরের ট্রাস্টের তরফে সুপ্রিম কোর্টে একটি রিট পিটিশন দায়ের করা হয়। যত দিন না করের সঠিক পরিমাণ ধার্য করা হয়, তত দিন পর্যন্ত ওই কর দেওয়ার নোটিসের উপর স্থগিতাদেশ দেয় শীর্ষ আদালত।অবশেষে আয়কর বিভাগের তরফ থেকে শ্রী সাইবাবা মন্দির ট্রাস্টকে একটি ধর্মীয় ও দাতব্য ট্রাস্ট হিসাবে মেনে নিয়ে দান বাক্সে আসা অনুদানের উপর থেকে কর ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আয়কর বিভাগের তরফে জানানো হয়েছে, তিন বছরের হিসাবে দান বাক্সে আসা অনুদানের উপর ১৭৫ কোটি টাকা কর ধার্য করা হয়েছিল।সেই পুরো করই ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে আয়কর বিভাগ জানিয়েছে।
আরও পড়ুন : বিশ্বকাপে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দৃষ্টান্ত, জাপানের থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়া উচিত
আরও পড়ুন : একবার নয় পর পর দু-বার, পায়ের উপর উঠে এল চলন্ত বাসের চাকা
মহারাষ্ট্রের ঔরঙ্গাবাদ জেলার শিরডিতে এই মন্দির রয়েছে। প্রতি বছর সারা বিশ্ব থেকে লক্ষ লক্ষ মানুষ শিরডির সাই বাবার (shirdi saibaba) মন্দিরে এসে ভিড় করেন।গরিব মানুষদের সাহায্য করার যে উদ্যোগের কথা মন্দির কর্তৃপক্ষ বলেন, সেই উদ্যোগে শামিল হতে অনেকেই মন্দিরে লক্ষ লক্ষ টাকা দান করেন। প্রসঙ্গত শিরডির সাইবাবা মন্দির এই মুহূর্তে ভারতের সবচেয়ে ধনী মন্দিরগুলির মধ্যে একটি। কয়েকটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, দরিদ্রদের সাহায্য করার জন্য শিরডি মন্দিরের ভান্ডারে নাকি প্রায় আড়াই হাজার কোটি জমা রয়েছে। রয়েছে হাসপাতাল, স্কুলও।