
মাঙ্গালুরু: মসজিদের মধ্যে মন্দিরের অস্তিত্ব নিয়ে যেন বিতর্ক থামতেই চাইছে না। এর পর এক এই ধরনের ঘটনা প্রকাশ্যে আসছে, উত্তরপ্রদেশের জ্ঞানব্যাপী মসজিদের মধ্যে শিবলিঙ্গের রয়েছে এই বিতর্কের মধ্যেই মিলছে আরও এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। ম্যাঙ্গালুরুর কাছে একটি মসজিদের ভিতরে মিলেছেন হিন্দু মন্দিরের কাঠামো। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে চর্চা। তবে কেবল চর্চাই নয় ঐশ্বরিক উপস্থিতি সনাক্ত করার জন্য একটি অনুষ্ঠান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে হিন্দুত্ববাদীরা।
ম্যাঙ্গালুরুর (Mangaluru) এক মসজিদের অন্দরে হিন্দু মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ মিলেছে এই তথ্য পাওয়ার পরেই বৈঠক সেরেছে হিন্দুত্ববাদীরা। এই বিষয় নিয়ে গোষ্ঠীগুলি একটি সভা করেছে এবং ২৫ মে থাম্বুলা পারশনা” নামের অনুষ্ঠান করার পরিকল্পনা করে। মসজিদের মধ্যে ঐশ্বরিক উপস্থিতি সনাক্ত করা নিয়ে করা সভায় বিজেপি বিধায়ক ভারত শেঠি, শরণ পাম্পওয়েল সহ বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি) নেতারা উপস্থিত ছিলেন৷ বিজেপি বিধায়ক ঘটনা প্রসঙ্গে বলেছেন, “হ্যাঁ আমরা থাম্বুলা পারশনা অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা করছি, এর পরে, আমাদের যদি বিষয়টি নিয়ে নিশ্চিত হই তারপরে আদালতে যাব। যেহেতু পুলিশ এলাকাটি সিল করে দিয়েছে আমরা মসজিদ চত্বরের আশেপাশে অনুষ্ঠান করব না।”
আরও পড়ুন- নিয়োগ কেলেঙ্কারি রুখতে SSC-র প্রশ্নপত্রের ধাঁচে বদলের ভাবনা
উল্লেখ্য, ম্যাঙ্গালুরুর শহরে একটি পুরানো মসজিদের নীচে একটি হিন্দু মন্দিরের মতো স্থাপত্য নকশা আবিষ্কৃত হয়েছে। মালালির জুমা মসজিদের সংস্কার কাজের সময় এই কাঠামোটি পাওয়া যায়। মসজিদ কর্তৃপক্ষ যখন সংস্কারের কাজ করছিল তখনই এই বিষয়টি সামনে আসে। মসজিদের মধ্যেই হিন্দু মন্দিরের চিহ্ন মেলায় ফের নতুন করে ধর্মীয় উত্তাপ বৃদ্ধির আশঙ্কা করা হচ্ছে । তবে এর আগে, দক্ষিণ কন্নড় কমিশনারেট পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কাঠামোর স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছিল এবং মানুষকে শান্তি বজায় রাখার জন্য আবেদন করেছিল।
আরও পড়ুন- ‘নিজেদের সান্তনা না দিয়ে ক্ষতিটা মানতে শেখা দরকার: অনুপম হাজরা
দক্ষিণ কন্নড়ের ডেপুটি কমিশনার রাজেন্দ্র কেভি বলেছেন, “আমি বিষয়টি সম্পর্কে ভূমি কর্মকর্তা এবং পুলিশ বিভাগের কাছ থেকে তথ্য পেয়েছি। জেলা প্রশাসন মালিকানার বিবরণ সম্পর্কিত পুরানো জমির রেকর্ড এবং এন্ট্রিগুলি খতিয়ে দেখছে। আমরা এনডাউমেন্ট বিভাগ এবং ওয়াকফ বোর্ড উভয়ের কাছ থেকে রিপোর্ট নেব। আমরা দাবির বৈধতা পরীক্ষা করব এবং খুব শীঘ্রই উপযুক্ত সিদ্ধান্ত নেব। ততক্ষণ পর্যন্ত, আমি স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছি এবং জনগণকে উপসংহারে না যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেছি। আমি জনগণকে আইন-শৃঙ্খলা ও শান্তি বজায় রাখার জন্য অনুরোধ করছি।”