খাস ডেস্ক: ভা্রতে অসংখ্য দেবদেবী। এছাড়া ভারত বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ। স্বাধীনতার ৭৮তম বর্ষও পূর্ণ হল। এই পরিস্থিতিতে ভারতে নাবালিকা থেকে শুরু করে প্রাপ্তবয়স্ক মহিলারা যৌন নির্যাতনের(Rape) শিকার। লাগাতারভাবে ঘটছে ধর্ষণের ঘটনাও।
কলকাতার আরজিকর হাসপাতালে চিকিৎসকের হত্যার এবং ধর্ষণের ঘটনার পরে কেঁপে উঠেছে গোটা দেশ। মানুষ প্রতিবাদে পথে নেমেছেন। দিকে দিকে গর্জে উঠছে নাগরিক সমাজ।
বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেস তখা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি রে রে করে আসরে নেমে পড়েছে। এদিকে বিজেপিশাসিত রাজ্য উত্তরপ্রদেশে ২০১৪ সালে কেন্দ্রে এনডিএ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে মহিলারা নির্যাতিত। নাবালিকারাও ধর্ষিত হচ্ছে।
এধরনের আরেকটি খবর নতুন করে সামনে এল। পুলিশ সূত্রের খবর, ১৪ বছরের এক স্কুল ছাত্রী তার স্কুলের শিক্ষকের হাতে ধর্ষিত হওয়ার পরে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। মাসাধিককাল চিকিৎসার পরে হাসপাতালে ওই স্কুল ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, অষ্টম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে তার স্কুলশিক্ষক বাড়িতে ডেকে পাঠিয়ে এরপর তাকে ধর্ষণ করেছে। অভিযুক্ত স্কুলের শারীরশিক্ষার শিক্ষক। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের শোনভদ্র জেলায়।
বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের হাসপাতালে ওই ছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনার পরে স্বভাবতই পরিবারের লোকজন দোষী চিকিৎসকের উপযুক্ত শাস্তি দাবি করেছেন।
এদিকে ছাত্রীর পরিবারের তরফে জানাজানি হয়েছে. অভিযুক্ত ঘটনা ধামাচাপা দিতে তাঁদের ৩০ হাজার টাকা দিয়েছে। তাঁরা সেই টাকা নিয়েছেনও। অভিভাবকরা জানিয়েছেন, মেয়েটির মৃত্যু হতে পারে তা ভাবেননি। সামাজিক লজ্জার হাত থেকে বাঁচতে তাঁরা গোটা বিষয়টি চেপে গিয়েছিলেন।
এদিকে অভিযুক্ত শিক্ষক পলাতক। পুলিশ জানিয়েছে, শীঘ্রই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হবে।