
নয়াদিল্লি: প্রধানমন্ত্রীর পদবি ‘মোদী’ নিয়ে মন্তব্য করে মানহানি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজ হয়ে যায়। এই ইস্যু নিয়েই তপ্ত সংসদ চত্বর। কংগ্রেসের নেতার সঙ্গে হওয়া ঘটনা নিয়েই বিজেপির বিরুদ্ধে একযোগে সুর ছড়াচ্ছে বিরোধীরা। কংগ্রেস পালন করছে কালো দিবস। যার নেতৃত্ব দিচ্ছেন বর্তমান কংগ্রেস প্রধান মল্লিকার্জুন খাড়গে। তাঁর ডাকা বিরোধী বৈঠকে যোগ দিয়েছে একাধিক দল যার মধ্যেই রয়েছে বাংলার শাসকদল তৃণমূলও। রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজ হয়ে RJD বিধায়ক বিরোধী সাংসদদের গণ পদত্যাগের আহ্বান জানিয়েছেন। সব মিলিয়ে জাতীয় রাজনীতিতে রাহুল ইস্যুতে হু হু করে পারদ চড়ছে।
যেখানে বিজেপি বিরোধী হলেও সকলকে একসঙ্গে পাওয়া যায় না সেখানে বিরোধী ঐক্যের বিরল দৃশ্য দেখা গিয়েছে। যার কেন্দ্রে রাহুল গান্ধী। , আরজেডি বিধায়ক ভাই বীরেন্দ্র কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর অযোগ্যতার প্রতিবাদে সরব হয়ে বলেছেন, “আমার দৃষ্টিতে, রাহুল গান্ধীর সঙ্গে যা ঘটেছে তা শেষ নয়। এটি কেবল শুরু হতে পারে। আমার নেতা (উপমুখ্যমন্ত্রী) তেজস্বী যাদব ইতিমধ্যেই নিপীড়নের মুখোমুখি হচ্ছেন। আমি লাইনে পরবর্তী ব্যক্তি হতে পারি। তাই সময় এসেছে, গণতন্ত্রের জন্য হুমকির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেমে পড়ার পুরো বিরোধী দলের।”
আরও পড়ুন: ”ভগবান একটি উপহার পাঠিয়েছেন”, সন্তান কোলে বাবা হওয়ার সুখবর দিলেন তেজস্বী যাদব
অন্যদিকে, রাহুলের অযোগ্যতার বিরুদ্ধে ‘গণতন্ত্র বাঁচাও’ প্রতিবাদের অংশ হিসেবে সংসদে কালো পোশাক পরে বেশ কয়েকজন বিরোধী নেতাকে দেখা গিয়েছে। সোমবার সংসদ অধিবেশনের আগে কংগ্রেসের বিরোধী দলগুলির ডাকা বৈঠকে ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের দুই সাংসদ জহর সরকার ও প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকে তৃণমূল ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেডিইউ, সমাজবাদী পার্টি, ডিএমকে, এনসিপি, সিপিএম, আরএসপি, ন্যাশনাল কনফারেন্স, এমডিএমকে, শিবসেনার (উদ্ধব ঠাকরে গোষ্ঠী) প্রতিনিধিরা। হাউসে একটি যৌথ কৌশল নিয়ে আলোচনা করার জন্য বিরোধী দলের নেতা মল্লিকার্জুন খার্গের ঘরে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল।