
পুরী: জগন্নাথ, বলরাম ও সুভ্রদার সামনে খাবার থালা থেকে উধাও হয়ে যাচ্ছে প্রসাদ৷ এমনকি ফুল নিয়ে দিচ্ছে ছুট৷ কেটে দিচ্ছে বিগ্রহের পোশাক৷ এই চিত্র এখন দেখা যাচ্ছে পুরীর জগন্নাথের মন্দিরে৷ বিঘ্নিত হচ্ছে নিত্য পুজোর৷ আতঙ্কে রয়েছে মন্দিরের পুরোহিতরা৷
এই সব কর্মকাণ্ড ইঁদুরের৷ মন্দির চত্বরে ঝাঁকে ঝাঁকে ইঁদুর দাপিয়ে বেড়াচ্ছে৷ যার জেরে নাজেহাল সেবায়েতরা৷ সঙ্কটের মুখে জগন্নাথ, বলরাম এবং সুভদ্রার কাঠের বিগ্রহের৷ কারণ ইঁদুরের দল সারাদিন ছোটাছুটি করছে মন্দিরের ভিতরে৷ কখনও আবার রত্ন সিংহাসনের নিচে বসে থাকছে তারা৷
সেবায়েতরা সিংহাসনের সামনে গেলেই তারা নড়াচড়া শুরু করছে। ভয় পালিয়ে আসছেন সেবায়েতরা৷ ফলে মূর্তিগুলির পোশাক বদল, সাজসজ্জার কাজ বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে বলে জানাচ্ছে মন্দিরের পুরোহিতরা৷ তাঁদের দাবি, ইঁদুরের দল গর্ভগূহে যেখানে-সেখানে মলমূত্র ত্যাগ করছে৷
শুধু তাই নয়, ফুল নিয়ে সেগুলি ছিড়ে মন্দিরের ভিতর নোংরা করে দিচ্ছে৷ ফলে দিনের মধ্যে একাধিকবার মন্দির চত্বর পরিষ্কার করতে হচ্ছে৷ সেই সঙ্গে বিগ্রহের পোশাক ও সাজসজ্জাও বার বার বদল করতে হচ্ছে৷ মন্দিরে যেহেতু প্রাণী হত্যা নিষিদ্ধ তাই ইঁদুরের দলকে বিষ খাওয়ানো যাচ্ছে না বলে জানাচ্ছে সেবায়েতরা৷
তবে তাঁদের দাবি, জ্যান্ত ইঁদুর ধরে মন্দিরের বাইরে ফেলে আসা হচ্ছে৷ কিন্তু এইভাবে কত দিন ইঁদুরগুলিকে বাইরে ফেলা হবে? কারণ দিনে দিনে বাড়ছে ইঁদুরের সংখ্যা৷ বিগ্রহের ক্ষতি না হওয়ার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছেন পুরোহিতরা৷ তাই তাঁরা নিয়মিত পরিচর্যা করছেন৷
প্রসঙ্গত, সাধারণত বায়ু যেদিকে প্রবাহিত হয়, যে কোনও পতাকা সেই দিকেই ওড়ে। কিন্তু, আশ্চর্যজনকভাবে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের গম্বুজের উপরে যে পতাকাটি লাগানো থাকে, সেটিকে সবসময়ই বায়ুপ্রবাহের বিপরীত দিকে উড়তে দেখা যায়। এটা কীভাবে সম্ভব তা এখনও জানা যায়নি।