নয়াদিল্লি: সিএএ বিরোধী আন্দোলনে সামিল হয়েছিল জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া এবং জেএনইউ’র পড়ুয়াদের একটা বড় অংশ৷ পড়ুয়াদের বিক্ষোভে সামিল হওয়া নিয়ে তীর্যক মন্তব্য করলেন বাবা রামদেব৷ যোগগুরুর কথায়, পড়ুয়াদের বিক্ষোভের জেরে বাইরের দেশগুলিতে ভারতের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে৷
২০২০ সালে ভারতের সামনে কী কী চ্যালেঞ্জ রয়েছে, এই নিয়ে বলতে গিয়ে সিএএ’র বিরোধী আন্দোলনের কথা টেনে আনেন রামদেব৷ বলেন, ‘‘বিক্ষোভ দেখানো নেতাদের কাজ৷ পড়ুয়াদের নয়৷ হিংসা ছড়ানো পড়ুয়াদের কাজ হতে পারে না৷ হওয়া উচিতও নয়৷ পড়ুয়াদের নিজেদের কেরিয়ারের দিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত৷’’
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বাবা রামদেব৷ অযোধ্যা রামমন্দির থেকে শুরু করে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার- স্পর্শকাতর ইস্যুতে তিনি সবসময় কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষে মুখ খুলেছেন৷ সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনকেও তিনি সর্মথন জানিয়েছেন৷ তবে এই আইনকে ঘিরে যে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ হচ্ছে তা ‘বিশ্বের দরবারে ভারতের ভাবমূর্তিকে নষ্ট করার প্রয়াস’ বলে মনে করেন যোগগুরু৷
জানান, কিছু রাজনৈতিক দল, বিদেশি শক্তি এবং সাম্প্রদায়িক কিছু গোষ্ঠী স্বার্থসিদ্ধির জন্য সিএএ নিয়ে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে৷ সিএএ তে কোনও ভারতীয়র নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার কথা বলা নেই৷ কোনও নেতা বা রাজনৈতিক দল নাগরিকত্ব কেড়ে নিতে পারে না৷ কিছু দল মানুষদের ভুল বোঝাচ্ছে৷ তাই অনেকে বিক্ষোভ দেখিয়ে সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করছে৷
কিছুদিন আগে আরও এক আধ্যাত্মিক গুরু জাগ্গি বাসুদেবও সিএএ’র সমর্থনে মুখ খোলেন৷ একই সঙ্গে হিংসাত্মক বিক্ষোভের সমালোচনা করেছিলেন৷ জানিয়েছিলেন, যে দেশে বাস জ্বালানো হয়, সেই দেশে বাইরের কোনও শিল্পপতি বিনিয়োগ করতে আসবে না৷ হিংসা থেমে গেলেও বিক্ষোভের ছবি থেকে যায়৷