খাস ডেস্ক: ওয়ানাড কাদাধসে বিপর্যস্ত এলাকা শনিবার পরিদর্শন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি(PM Narendra Modi)। এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি চোরামালা, মুনডাক্কি, পানচিরিমাট্টমের মতো বিপর্যস্ত এলাকাগুলো পরিদর্শন করেন। মোদির সঙ্গে ছিলেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন, কেরলের রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হেলিকপ্টার কাদাধসে বিপন্ন এলাকাগুলো পরিদর্শনের পরে কালপেট্টায় অবতরণ করে। সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী এদিন ত্রাণের কাজের তদারকি করেন। এছাড়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জখমদের সঙ্গেও দেখা করেছেন।
গত ৩০ জুলাই কাদাধসে মোট ২২৬জন মানুষের বেঘোরে মৃত্যু হয়েছে। কেরলের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো দাবি করছে, ওয়ানাডের পাহাড়ি এলাকায় যে কাদাধসের ঘটনা ঘটেছে প্রধানমন্ত্রী তা জাতীয় বিপর্যয় হিসেবে ঘোষণা করুক।
কেন ওয়ানাডে এধরনের বিপর্যয় ঘটল, সেব্যাপারে কোচিন বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাডভান্স সেন্টার ফর অ্যাটমসফিয়ার র্যা ডার রিসার্চ সেন্টারের অধিকর্তা এস অবিনাশ বলেছেন, যথেচ্ছভাবে বৃক্ষনিধনের ফলে ওয়ানাডে ভয়াবহ কাদাধসের ঘটনা ঘটেছে।
ওয়ানাডে গত মাসের শেষে ঘটা ভয়াবহ ভূমিধসের ঘটনাকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আজ জাতীয় বিপর্যয় হিসেবে ঘোষণা করতে পারেন বলে সর্বশেষ খবর। তবে এখনও পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী এধরনের কোনও ঘোষণা করেনি।
এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিমান কান্নুর বিমানবন্দরে অবতরণ করে। সেখা্নে তাঁকে স্বাগত জানান কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। সকাল ১১ টা নাগাদ মোদির বিমান অবতরণ করে।
ওয়ানাডে যে ২২৬জনের ভূমিধসে মৃত্যু হয়েছে এঁদের মধ্যে ১৯৭টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি মৃতদেহগুলোর হদিশ পাওয়ার চেষ্টা চলছে।
কেরল সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, দুর্গতদের ত্রাণ পৌঁছে দিতে রাজ্য সরকার সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে। কেরল সরকার কেন্দ্রের কাছে দুর্গতদের পুনর্বাসন ও ত্রাণের জন্যে ২ হাজার কোটি টাকা আর্থিক সহায়তার দাবি জানিয়েছে।
এদিন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধিও দাবি করেছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অবিলম্বে ওয়ানাডের কাদাধসের ভয়াবহ ঘটনাকে জাতীয় বিপর্যয় হিসেবে ঘোষণা করুক। গত ১ অগাস্ট রাহুল গান্ধি ও কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধি ওয়ানাডের দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করেছেন।