সংসারের হাল টানবে কে, খুনের রাতে এই নিয়ে শ্রদ্ধা-আফতাবের বচসা

0
235
shraddha walker murder

নিউ দিল্লিঃ শ্রদ্ধা খুনে (shraddha murder) পরতে পরতে উঠে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। এবার আফতাবকে জেরা করে উঠে এল আরও এক তথ্য। সংসার কে চালাবেন। খুনের দিন রাতে এই নিয়ে শ্রদ্ধা ও আফতাবের মধ্যে বচসা শুরু হয়। আর তার জেরেই খুন। অভিযুক্ত আফতাবকে জিজ্ঞাসাবাদ করে উঠে এসেছে এই তথ্য।

আরও পড়ুন : ব্যপারটা কি, গুজারটে কংগ্রেসের তারকা প্রচারকের তালিকায় নেই শশী থারুর

- Advertisement -

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক মাস ধরেই বিভিন্ন কারণে যুগলের মধ্যে অশান্তি চলছিল। আফতাবের মেয়ে বান্ধবীদের নিয়েও তিতিবিরক্ত ছিলেন শ্রদ্ধা। তবে খুনের দিন রাতে সংসার চালানো খরচ নিয়ে দুই জনের মধ্যে ঝামেলা চরমে পৌঁছায়। কিন্তু খুনের দিন অর্থাৎ, ১৮ মে রাতে গৃহস্থালীর সামগ্রী কেনা নিয়ে তাঁদের ঝগড়া শুরু হয়। সংসার কী করে চলবে এবং সংসারের খরচ কে টানবেন, সে প্রসঙ্গও উঠে আসে ঝামেলার মধ্যে। সেই নিয়ে কথা কাটাকাটি গড়িয়ে যায় মারপিটে। এর পরই শ্রদ্ধার বুকের উপর চেপে তাঁর গলা টিপে ধরেন আফতাব। শ্বাসরোধ করে খুন করেন প্রেমিকাকে।

আরও পড়ুন : বাড়ির ছোট্ট সদস্যকে হারিয়ে ভেঙে পড়লেন Amitabh Bachchan

আরও পড়ুন : বিমানযাত্রীদের জন্য সুখবর, বিমান যাত্রার সময় আর বাধ্যতামূলক থাকছে না মুখের মাস্ক

তদন্তের শুরুতে উঠে এসেছিল বিয়ের জন্য প্রেমিক আফতাবকে বার বার চাপ দিতেন শ্রদ্ধা। একসঙ্গে থাকলেও বিয়ে করতে সম্মতি ছিল না আফতাবের। আর তাঁর জেরেই খুন। তবে আর কোন মোটিভ ছিল কিনা শুরু থেকেই সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজ ছিল পুলিশ। এ ছাড়াও ওই যুগলের মধ্যে অন্য এক মহিলাকে নিয়ে ঝামেলা চলছিল বলেও সূত্রের খবর। সম্প্রতি পুলিশের হাতে এমন তথ্য এসেছে যাতে মনে করা হচ্ছে শ্রদ্ধাকে খুনের নেপথ্যে থাকতে পারে অন্য এক মহিলার সঙ্গে আফতাবের ঘনিষ্ঠতা। আর সেই ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে বাধা দেওয়ার কারণেও শ্রদ্ধার উপর ক্ষোভ জন্মাচ্ছিল আফতাবের। প্রতিবেশী এব‌ং শ্রদ্ধার বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ জানতে পেরেছে যে, আফতাব নাকি শ্রদ্ধাকে প্রায়ই মারধর করতেন। শ্রদ্ধার সেই চিৎকার পৌঁছেছিল প্রতিবেশিদের কানেও। প্রসঙ্গত, ছ’মাস আগে ১৮ মে দিল্লির মেহরৌলিতে একত্রবাসে থাকা প্রেমিকা শ্রদ্ধা ওয়ালকারকে খুন (shraddha murder) করেন তাঁরই প্রেমিক আফতাব আমিন পুনাওয়ালা। এর পর এক বিদেশি ওয়েব সিরিজ দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি শ্রদ্ধার মৃতদেহ ৩৫ টুকরো করে ফেলেন। সেই মৃতদেহ সংরক্ষণ করে রাখতে বাড়ির পাশের দোকান থেকে কিনে আনা হয়েছিল নতুন ফ্রিজও। এর পর ১৮ দিন ধরে ছতরপুর ছিটমহলের জঙ্গলের বিভিন্ন জায়গায় শ্রদ্ধার দেহের টুকরোগুলি ছড়িয়ে দিয়ে আসেন আফতাব। সন্দেহ এড়াতে আফতাব রোজ রাত ২টো নাগাদ একটি পলিব্যাগে করে দেহের টুকরো নিয়ে বাড়ি থেকে বার হতেন বলে পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পেরেছে।