বেঙ্গালুরু: শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পড়ুয়ারা মঞ্চস্থ করেছিল একটি নাটক। যার আয়োজন করা হয়েছিল ওই স্কুলের অভ্যন্তরেই। যার কারণে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে দায়ের করা হল রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা। কারণ নাটকের বিষয়বস্তু ছিল সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন এবং নাগরিকপঞ্জি নিয়ে।
গত দেড় মাস ধর সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ঘিরে বিতর্ক চলছে সমগ্র দেশ জুড়ে। এক মাসের বেশি সময় ধরে বিক্ষোভ প্রদর্শন চলছে দিল্লির শাহিনবাগে। জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরেও চলছে বিক্ষোভ। সেই বিক্ষোভস্থলে গত পাঁচ দিনে একাধিকবার গুলি চালানার ঘটনা ঘটেছে। প্রথমে জামিয়া চত্বরে প্রতিবাদী মিছিল লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়েছিল এক কিশোর। এর দিন দুই পরে শাহিনবাগেও চলে গুলি।
দেশের প্রায় সব প্রান্তেই কেন্দ্রের এই আইনের বিরুদ্ধে জাই রয়েছে প্রতিবাদ। তেমনই এক প্রতিবাদের অঙ্গ ছিল ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাটক। যার কারণেই ঘটেছে বিপত্তি। ঘটনাটি দক্ষিণের রাজ্য কর্ণাটকের। ওই রাজ্যের বিদার জেলার শাহিন এডুকেশন ইন্সটিটিউটে মঞ্চস্থ হয় একটি নাটক। যেখানে অভিনয় করেছিলেন স্কুলের পড়ুয়ারা। ওই নাটকের বিষয়বস্তু ছিল সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন এবং নাগরিকপঞ্জি। দুই বিষয়েরই ক্ষতিকারক প্রভাব তুলে ধরা হয়েছিল ওই নাটকে।
অভিযোগ, এরপরেই ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা দায়ের করে পুলিশ। ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় দায়ের করা হয়েছে মামলা। এই বিষয়ে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সিইও তৌসিফ মাদিকেরি বলেছেন, “একটা নাটক মঞ্চস্থ করা হয়েছিল। যা সম্পূর্ণ কল্পনার উপরে নির্ভর করে রচিত ছিল। সেই কারণেই পুলিশ আমাদের স্কুলের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা দায়ের করে দিল।” ডেপুটি পুলিশ সুপার শ্রেণীকক্ষে ঢুকে পড়ুয়াদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে বলেও অভিযোগ করেছেন তৌসিফ মাদিকেরি।
কর্ণাটকের ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২৪এ, ৫০৪ এবং ৫০৫ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। এর মধ্যে শারজিল ইমামের বিরুদ্ধে ১২৪এ এবং ৫০৫ ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। ভারতীয় সংবিধানের ১২৪এ ধারায় রাষ্ট্রদ্রোহিতার উল্লেখ করা হয়েছে।