শ্রীনগর: যুদ্ধবিরতি সংঘর্ষ চুক্তি অমান্য করে ফের সীমান্তের ওপার থেকে হামলা চালাল পাকিস্তান। শনিবার রাতের পর রবিবার দুপুরেরও ভারতের দিকে গোলা-গুলি ছুঁড়তে থাকে পাক সেনা। যার যোগ্য জবাব দিতে শুরু করেছে ভারতীয় সেনা।
সেনাবাহিনী সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন দুপুর ১২টা বেজে ৫০ মিনিট নাগাদ পাক সীমান্ত লাগোয়া কাশ্মীরের একাধিক জায়গায় শুরু হয় হামলা। কাশ্মীরের পুঞ্চ জেলায় বালাকোট এবং মেন্দহার এলাকায় শুরু হয় গোলাবর্ষণ। ছোট অস্ত্রের থেকে এলোপাথাড়ি গুলি ছোঁড়া শুরু হয়। সেই সঙ্গে চলছিল মর্টার সেলিং। এলওসি-র ওপার থেকে ছুটে আসা গোলা-গুলির জবাবে পালটা প্রত্যাঘাতের পথে হাঁটে ভারতীয় সেনা।
শনিবার রাতে জম্মু ও কাশ্মীরের পুঞ্চের ডেগওয়ার সেক্টরে ভারতীয় সেনার চেকপোস্ট ও জনবসতি লক্ষ্য করে কোনও প্ররোচনা ছাড়াই ফায়ারিং ও হেভি শেলিং শুরু করে পাক সেনা৷ পাল্টা জবাব দেয় ভারতীয় সেনা৷ তবে পাক সেনার সংঘর্ষবিরতিতে এক জওয়ান শহিদ হন৷ জখম হয়েছেন আরও তিন জওয়ান৷ তাঁদের দ্রুত নিয়ে যাওয়া হয়েছে হাসপাতালে৷
প্রতি বছর সীমান্তে সংঘর্ষবিরতির সংখ্যা বাড়িয়েই চলেছে পাকিস্তান৷ সরকারি তথ্য বলছে, ২০১৯ সালে ৩২০০ বার সংঘর্ষবিরতি করেছে পাক সেনা৷ যা ২০১৮ সালের দ্বিগুণ৷ ২০১৮ সালে ১৬২৯ বার সংঘর্ষবিরতির ঘটনা ঘটে৷ ২০১৭ সালে অপেক্ষাকৃত কম এই ঘটনা ঘটে৷ ওই বছর ৮৭০ বার সংঘর্ষবিরতি করে পাক সেনা৷
ভারতীয় সেনা জানায়, শীত পড়ার আগে সংঘর্ষবিরতির ঘটনা বেড়ে যায় কাশ্মীরে৷ এর কারণ হল, অনুপ্রবেশ৷ শীতের আগে অনুপ্রবেশ ঘটাতে মরিয়া হয় পাকিস্তান৷ তাই সংঘর্ষবিরতি করে ভারতীয় সেনার দৃষ্টি অন্যদিকে ঘোরানোর চেষ্টা থাকে৷ তাতেও অবশ্য সবসময় সফল হয় না পাকিস্তান৷ ভারতীয় সেনার কড়া নজরদারি তাদের সেই পরিকল্পনা ব্যর্থ করে দেয়৷
অন্যদিকে, পাকিস্তানের সংসদে ভারতের বিরুদ্ধে ‘জিহাদ’ বা যুদ্ধ করার আহ্বান জানিয়েছিল কিছু পাকিস্তানি রাজনৈতিক দল। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে একজন রাজনৈতিক নেতা পরামর্শ দেন যে, ১০ ফেব্রুয়ারিকে ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধের তারিখ হিসাবে ঘোষণা করা হোক। ওই সকল রাজনৈতিক দল বা সংগঠনের দাবি পাকিস্তান সরকার মেনে নিলে সোমবার থেকেই শুরু হয়ে যেতে পারে যুদ্ধ।