খাস ডেস্ক: ভারত-পাকিস্তান কূটনৈতিক সম্পর্কের উন্নতি না হলে তা ভারত ও পাকিস্তান কেবল নয়, তা গোটা দক্ষিণ এশিয়ার পক্ষে বিপজ্জনক। এই পরিস্থিতিতে ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্কের উন্নতির আশা তেমন নেই। উল্টে ভারতের দাবি, ভারতজুড়ে পাক গুপ্তচররা ছড়িয়ে রয়েছে প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত তথ্য হাতিয়ে নিতে। বৃহস্পতিবার চলেছে দেশজুড়ে অভিযান। তবে এদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত জাতীয় তদন্ত সংস্থা কোনও পাকিস্তানি গুপ্তচরকে গ্রেফতার করেছে কিনা তা জানা যায়নি।
এই পরিস্থিতিতে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের বৈঠকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে পাকিস্তান। রাজনৈতিক এবং কূটনৈতিক মহলে জল্পনা চলছে, মোদী ওই বৈঠকে যোগ দেবেন কিনা। এদিকে ভারতের পক্ষ থেকে এব্যাপারে সরকারিভাবে এখনও কিছু জানানো হয়নি।
পাকিস্তানের ইসলামাবাদে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের বৈঠকে কোন কোন দেশ যোগ দেবে সেই তালিকা পাকিস্তান এখনও জানায়নি। এপর্যন্ত যা খবর সেই অনুযায়ী, ইসলামাবাদের ওই বৈঠকে নরেন্দ্র মোদিকে প্রেরিত আমন্ত্রণপত্র ভারত ফিরিয়ে দেবে কিনা এই জল্পনার আবহে কূটনৈতিক মহল অপেক্ষায় আছে ভারত কী সিদ্ধান্ত নেবে তা দেখার জন্যে।
তবে ভারত সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের বৈঠকে ভারত যোগ দিক অথবা না দিক তাতে দক্ষিঁণ এশিয়ার কূটনীতিতে ভারত কোনও অসুবিধায় পড়বে না। কারণ ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, এই বৈঠকে আমন্ত্রিত দেশগুলো থেকে রাষ্ট্রনেতাদের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক না হওয়ায় ভারত যোগ না দিলে বিপাকে পড়বে না ভারত। একইসঙ্গে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কও স্বাভাবিক হওয়ার আশা নেই।