লখনউ: যত সময় গিয়েছে ততই বেড়েছে মৃত্যুর সংখ্যা। উত্তর প্রদেশের হাথরাসে পদপিষ্ট(Hathras Stampede) হয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২১-তে। মঙ্গলবার উত্তর প্রদেশের হাতরাসে একটি ‘সৎসঙ্গ’ চলাকালীন একটি মারাত্মক ঘটনাটি ঘটেছে। একটি সরকারি হাসপাতালের অভ্যন্তরে বরফের খণ্ডের উপর অসংখ্য মৃতদেহ পড়ে। কাউকে চেনা গিয়েছে কারও আবার পরিচয় জানা যায়নি। নিহতদের স্বজনরা মৃতদেহ ঘরে ফেরার জন্য বাইরে অপেক্ষায়। ধর্ম প্রচারক ভোলে বাবার ‘সৎসঙ্গ’-এর জন্য সিকান্দরাউ এলাকার ফুলরাই গ্রামের কাছে জড়ো হওয়া হাজার হাজার মানুষের ভিড়ের অংশ ছিল নিহতরা। কিন্ত কার ভুলে এগুলি প্রাণহানি ঘটল সেই উত্তর খুঁজছে পুলিশ।
মঙ্গলবার বিকেল বিকাল সাড়ে ৩টের দিকে পদদলিত হওয়ার ঘটনা ঘটে । একজন প্রত্যক্ষদর্শীর মতে, অনুষ্ঠানস্থলে হাজার হাজার লোক ছিল এবং বাবা যখন চলে যাচ্ছিলেন, তাদের অনেকেই তার পা স্পর্শ করতে ছুটে আসেন। যখন তারা ফিরে আসছিল, তখন লোকেরা পিছলে পড়ে একে অপরের উপর পড়েছিল। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যসচিব মনোজ কুমার সিং বলেছেন যে পদপিষ্ট হওয়ার পিছনে একটি কারণ ছিল অতিরিক্ত ভিড়। তিনি বলেন, ‘সৎসঙ্গ’ আয়োজনের অনুমতি চেয়ে ইভেন্ট আয়োজকরা যে আবেদন জমা দিয়েছেন তাতে উপস্থিতের সংখ্যা ৮০,০০০ ছিল, কিন্তু প্রকৃত সংখ্যা অনেক বেশি। একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে প্রায় ২.৫ লাখ মানুষ এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।” ডেপুটি পুলিশ সুপার সুনীল কুমার বলেছেন, ‘সৎসঙ্গ’ শেষ হওয়ার সাথে সাথে ভক্তরা বাবা নারায়ণ হরির পা ছোঁয়ার জন্য তার গাড়ির পিছনে দৌড়েছিল। তখনই মানুষ পিছলে পড়ে একে অপরের ওপর পড়ে। পুলিশ ধর্মপ্রাণ ভোলেবাবাকে খুঁজছে। তবে পুলিশের অনুমান ‘ভোলেবাবা’ ফুলরাই গ্রাম, অর্থাৎ যেখানে ওই ঘটনা ঘটেছে, সেখান থেকে অন্তত ১০০ কিলোমিটার দূরে মাইনপুরীর আশ্রমে রয়েছেন ।