খাস ডেস্ক: ভারতের বুকে পাকিস্তানি গুপ্তচরদের আনাগোনা চলছে। কেন্দ্র এনিয়ে উদ্বিগ্ন। প্রতিবেশী পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্কের অবনতি হয়েছে এই ইস্যুতে। এদিকে কেন্দ্রীয় সরকার ভারতের মাটি থেকে পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থার এজেন্টদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে বদ্ধপরিকর।
সূত্রে্র খবর, বৃহস্পতিবার সারা দেশের ১৬টি জায়গায় হানা দিয়েছেন জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-এর গোয়েন্দারা। এদিন গুজরাট, কর্নাটক, কেরল, তেলেঙ্গানা থেকে শুরু করে উত্তরপ্রদেশ, বিহার, হরিয়ানার ১৫টি জায়গায় এনআইএ গোয়ে্ন্দারা হানা দিয়েছেন।
এনআইএ সূত্রে জানা গিয়েছে, ভারতের প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত গোপন তথ্য ভারত থেকে পাকিস্তানে পাচারের জন্যে একটি চক্র সক্রিয়। বলাবাহুল্য, এটা ভারতের নিরাপত্তার পক্ষে বিপজ্জনক। গোয়েন্দা সূত্রের খবর, পাকিস্তানের মদতপুষ্ট ওই চক্র ভারতীয় নৌ-বাহিনীর গোপন তথ্য হাতিয়ে নিতেও ভারতের বুকে আস্তানা বসিয়েছে। ভারতে ঘাপটি মেরে থাকা পাক গুপ্তচরদের একাংশের হদিশ পেয়ে ২০২৩ সালেও চলেছে গোয়েন্দা অভিযান। চলতি বছরও ফের চলল এধরনের অভিযান।
গত বছর অভিযান চালানোর পরে দুই পাক গুপ্তচরের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছে এনআইএ। তবে এদের ভিতর একজন পলাতক এখনও। মোট চারজনের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির দায়ে চার্জশিট ফাইল করা হয়েছে।
এদিন দেশের বেশ কয়েকটি রাজ্যের ১৬টি জায়গায় এনআইএ হানা দিলেও কেউ গ্রেফতার হয়েছেন কিনা সেখবর এখনও মেলেনি। এদিকে জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা এদিন বিহারের একাধিক জায়গায় হানা দিয়েছে মাওবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযানে নেমে। সূত্রের খবর, বিহারের মোট ৯টি জায়গায় হানা দিয়েছে এনআইএ। এর ভিতর সাতটি জায়গা বেগুসরাইয়ে, আর গয়ায় দুটি জায়গায় এদিন হানা দিয়েছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা।
সূত্রের খবর, এদিন এনআইএ হানায় বিহারী পাসোয়ান নামে এক মাওবাদী নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃত ব্যক্তি মাওবাদী পার্চির জোনাল কমিটির সদস্য।