সারা দেশ উত্তাল সিএএ, এনআরসি নিয়ে। এই আইনের বিপক্ষে যেমন গড়ে উঠেছে বিশাল জনমত, তেমনই তার সিএএ-র পক্ষেও তৈরি হচ্ছে জনমত। এই বৈপরীত্য আবহাওয়ার মধ্যেই মাইসুরুর মেয়র হলেন প্রথম কোনও মুসলিম মহিলা। যেহেতু এই আন্দোলনে পুরোভাগে কার্যত গোটা মুসলিম সম্প্রদায়, সেহেতু এই জয় খুব তাৎপর্যপূর্ণ। তবে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল জনতা দল (সেকুলার) প্রার্থী তাসনিম বিজেপি প্রার্থী গীতা যোগানন্দকে ২৪ ভোটের ব্যবধানে হারিয়েছেন।
মাইসুরুরের ২২ তম মেয়র হয়ে তাসনিম জানান, ‘এই জয় পেয়ে অত্যন্ত খুশি। শহরের পরিচ্ছনতা ধরে রাখাই হবে তাঁর প্রথম লক্ষ্য।’ পাশাপাশি, বিভিন্ন সমস্যার দ্রুত সমাধানে সচেষ্ট হবেন বলেও আশ্বাস দেন তাসনিম। মহীশূরের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের প্রতিনিধি তিনি। তাসনিমের পক্ষে ভোট পড়ে ৪৭টি। অন্যদিকে, গীতা পান মাত্র ২৩টি ভোট। তাঁর দল জেডিএসকে ধন্যবাদ জানান তাসনিম। এই জয় যথেষ্ট ইঙ্গিতপূর্ন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
তবে কোনও মুসলিমকে পুরনির্বাচনে লড়ার সুযোগ এই প্রথম নয় জেডিএস-এর। এর আগে ১৯৯৬ সালে প্রথম মুসলিম মেয়র হন আরিফ হুসেন। এরপর ২০০৮ সালে আয়ুব খানও জেডিএস-এর হয়ে মেয়র নির্বাচিত হন। তবে, এই কোনও প্রথম মুসলিম মহিলা মাইসুরুর প্রথম নাগরিক হলেন।