খাসডেস্ক: চলতি মেয়াদেই মোদী সরকার দেশ জুড়ে কার্যকর করতে চলেছে এক দেশ এক নির্বাচন (ONE NATION ONE ELECTION) । সরকার এই নীতি কার্যকর করতে দায়বদ্ধ। সূত্র জানাচ্ছে এমনটাই। গত ১৫ ই অগাস্ট স্বাধীনতা দিবসে এক দেশ এক নির্বাচন নিয়ে বক্তৃতা রাখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কেন্দ্র সরকার দেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বাধীন একটি কমিটি গঠন করে। সেই কমিটি ইতিমধ্যেই রিপোর্ট প্রদান করেছে। এই কমিটি তার প্রথম সুপারিশেই দেশের লোকসভা ও রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন একসঙ্গে পরিচালনার কথা বলে। লোকসভা ও বিধানসভাগুলির নির্বাচন মেটার ১০০ দিনের মধ্যে পুর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা জানানো হয়।
আরও পড়ুন: রোমান্টিক কবি থেকে ‘ফাইট টু ফিনিশ’, কলতানের চারিত্রিক ‘উত্তরণ’ নিয়ে ভাবছে তাঁর নিজেরই দল
শীঘ্রই আইন কমিশনও এই সংক্রান্ত সুপারিশ করবে। আইন কমিশন সম্ভবত ২০২৯ সাল থেকে লোকসভা, বিধানসভা, পঞ্চায়েত ও মিনিউসিপ্যালিটি নির্বাচন একইসঙ্গে হওয়ার সুপারিশ করতে চলেছে। গত স্বাধীনতা দিবসে প্রধানমন্ত্রী এই সংক্রান্ত একটি দৃঢ় বক্তৃতা রাখেন। সেই সঙ্গে দাবি করেন বার বার নির্বাচনের আয়োজন দেশের উন্নয়নে বাধার সৃষ্টি করছে। বিজেপি তার ইস্তেহারে এক দেশ এক নির্বাচনের কথা বলেছে এবং তারা আশাবাদী দেশের সব রাজনৈতিক দলগুলি এই বিষয়ে সহমত হবে।
আরও পড়ুন: সেপ্টেম্বরে রেকর্ড বৃষ্টি, দূষণের চাদর উড়িয়ে আপাতত বিশুদ্ধ বাতাস নিচ্ছে ভারতের এই শহর
এক দেশ ও এক নির্বাচনের (ONE NATION ONE ELECTION) বিপক্ষে অনেকেই মত পোষণ করছেন। তাঁদের দাবি, এই নীতি দেশকে প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচনের পথে এগিয়ে নিয়ে যাবে। যা যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর সঙ্গে কখনোই মেলে না। আঞ্চলিক দলগুলি মনে করছে লোকসভা ভোটকে সামনে রেখে রিজিওনাল ইস্যুগুলি অজ্ঞাতে চলে যাবে। উদ্বেগের আরেকটি বিষয় হল, ইভিএম মেশিন সংগ্রহে বাড়তি খরচ। ১৫ বছরের হিসেবে যা দাঁড়াবে ১০ হাজার কোটিতে।