খাস ডেস্ক: শীঘ্রই শুরু হতে চলেছে মাওবাদী দমনে দেশজুড়ে অভিযান। কেন্দ্রীয় সরকার মাও দমনে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে মোতায়েন সেনার সংখ্যাবৃদ্ধি করেছে। এই পরিস্থিতিতে নকশাল দমন অভিযানে নেমে বৃহস্পতিবার এক পুলিশকর্মীর মৃত্যু হযেছে। তবে মাওবদীদের গুলিতে নয়, ওই পুলিশকর্মী মারা গিয়োছেন দুর্ঘটনায়। মৃত পুলিশকর্মী ছত্তীশগড়ে মাও দমন অভিযানে সামিল হতে জঙ্গল ঘেরা এলাকায় নিরাপত্তারক্ষীদের শিবিরে কর্মরত ছিলেন।
সূত্রের খবর, ছত্তীশগড়ে মৃত ওই পুলিশকর্মী সহ সাব-ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার। মৃতের নাম তেলাম চামরু। চামরু জেলা রিজার্ভ গার্ডের কর্মী। একটি মোটরসাইকেলে চেপে এদিন সকালে তিনি এলাকা পরিদর্শনে বেরিয়েছিলেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন কনস্টেবল পদমর্যাদার এক সহকর্মী। মোটরসাইকেলটি খাদে পড়ে গিয়ে মারা গিয়েছেন চামরু।
সূত্রের খবর, মৃত পুলিশকর্মীর বয়স ৩৯ বছর। ছত্তীশগড়ের এই দুর্ঘটবায় চামরুর সহযাত্রী কনস্টেবল জখম অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি। তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানা গিয়েছে।
কেন্দ্রীয় সরকার মাও দমন অভিযানে ব্যাপক তৎপরতার নেওয়ার কথা ঘোষণা করার পরে মাওবাদীরা পাল্টা আক্রমণে নেমে পড়েছে। সূত্রের খবর, গত তিনদিনে ৫ মাওবাদীদের হা্তে খুন হয়েছেন ৩জন। ৩জনই ছত্তীশগড়ের বাসিন্দা। এঁদের মধ্যে রয়েছেন এক পুলি্শকর্মীর ভাই।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দাবি করেছেন, ২০১৪ সালের মোদী ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকে সারা দেশে মাওবাদী আন্দোলন দমনে ব্যাপক সাড়া মিলেছে। যে সমস্ত জায়গায় মাও তৎপরতা রয়েছে দেশের মাও অধ্যুষিত সেই জেলাগুলোকে আগামী এক বছরের ভিতরে মাওবাদী শূন্য করা হবে বলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের দাবি।
পাল্টা আক্রমণে নেমে মাওবাদীরা ছত্তীশগড়ে এপর্যন্ত যে তিনজমকে খুন করোছে, এঁরা সকলেই নাগরিক সমাজের অংশ। গোয়েন্দা সূত্রের খবর, মাওবাদীদের বিরুদ্ধে পুলিশের চর হিসেবে কাজ করার অভিযোগে ওঁদের খুন করেছে মাওবাদীরা। খুন করা হয়েছে অপহরণ করে। খুনের পরে মৃতদেহগুলো জঙ্গল ঘেরা এলাকায় ফেলে দেওয়া হয়োছে।