নয়াদিল্লি: নিজেদের ধর্মনিরপেক্ষ বলে দাবি করা সংগঠন বামেদের ব্রিগেদ সমাবেশে বক্তব্য রেখেছেন পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকী। তাঁকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে ওই সমাবেশে। যা নিয়ে বিতর্ক হলেও নিজেদের অবস্থানে রয়েছেন বাম নেতৃত্ব। এই অবস্থান নাম না করে বামেদের আক্রমণ করলেন বাংলাদেশের নির্বাসিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন (Taslima Nasrin)।
আরও পড়ুন- বনগাঁয় বিজেপির যুব মোর্চার নেতাকে মারধরের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে
ধর্মীয় মৌলবাদীদের রষের মুখে পড়ে নিজের দেশ ছাড়তে হয়েছিল তসলিমাকে। কলকাতাতেও তাঁর থাকা হয়নি একই কারণে। প্রবল ইসলাম বিদ্বেষী হওয়ার কারণে নিজের দেশে আর ফেরা হয়নি। ভারত সরকারের পক্ষ থেকেও দেওয়া হয়নি নাগরিকত্ব। সুইডেনের নাগরিক তসলিমা এখন ভারতের জাতীয় রাজধানী দিল্লির বাসিন্দা। নিজের অবস্থানে বরাবরই অনড় থেকেছেন নাস্তিক এবং নারীবাদী তসলিমা।
আরও পড়ুন- সরকারি দফতরে চুক্তিতে নিযুক্তদের ভোটকর্মী করা যাবে না: কমিশন
সেই ধারা বজায় রেখেই বামেদের আক্রমণ করেছেন লজ্জার লেখিকা।। বৃহস্পতিবার টুইত করে তিনি লিখেছেন, “আমি একা নিজের দাওারা প্রভাবিত করে গত তিন দশকে অনেক ব্যক্তিকে নাস্তিক এবং নারীবাদী করেছি। কোনও রাজনৈতিক দল বা সংস্থা কেউই তা করেনি।”
এরপরেই নিজেদের নাস্তিক এবং নারীবাদী বলে দাবি করা বামেদের ৩৪ বছরের শাসনকালের খতিয়ান তুলে ধরেছেন লেখিকা তসলিমা। ওই টুইটে তিনি আরও লিখেছেন, “আপনারা নিজেদের নাস্তিক এবং নারীবাদী বলে দাবি করেন। ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে একটা রাজ্য শাসন করলেও কোনও একজন ব্যক্তিকে নাস্তিক বা নারীবাদী করতে পারেননি। এখন আপনারা একজন নারী বিদ্বেষী মোল্লার কাছে মাথানত করেছেন।”
আরও পড়ুন- শুভেন্দুকে আক্রমণ করলে ছেড়ে কথা বলব না, বিস্ফোরক শিশির
টুইটের শেষের দিকে নিজের কৃতিত্বের কথাও স্মরণ করিয়েছেন। টুইটের শেষে লিখেছেন, “আমার জীবনের ঝুঁকি ছিল, মৃত্যুর হুমকিও এসছিল। কিন্তু আমি তা কখনই করিনি।” বাংলাদেশ এবং ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে বহু জায়গায় হামলার শিকার হতে হয়েছিল তসলিমা নাসরিনকে। একাধিকবার মৃত্যুর হুমকিও দেওয়া হয়েছিল নাস্তিকতা এবং নারীবাদী অবস্থানের জন্য।
ফুরফুরা শরীফের পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকী নিজেকে সর্বদা ধর্মপ্রাণ ব্যক্তি বলেই দাবি করেন। ধর্মনিরপেক্ষতার জন্য অন্য ইসলাম বিরোধী ধর্মাচারণ করবেন না বলেও স্পষ্ট করে দিয়েছেন। সেখানে নাস্তিক হওয়ার কন প্রশ্নই নেই। তৃণমূলের অভিনেত্রী সাংসদ নুসরত জাহানের বিরুদ্ধে অত্যন্ত কুরুচিকর মন্তব্য করেছিলেন আব্বাস। নাম উল্লেখ না করলেও পীরাজাদা এবং আইএসএফ কর্তার দিকেই যে তসলিমা ইঙ্গিত করেছেন তা বলাই বাহুল্য। অন্যদিকে ৩ বছরের বেশি রাজ্য শাসনের কথা বলার অর্থ যে বামেদের দিকে নিশানা সেটাও বুঝতে সমস্যা হয় না।