নয়াদিল্লি: আরজিকর মামলায় সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল করেছেন রাজ্যের হয়ে কপিল সিব্বল(Kapil Sibbal)। সেই মামলা নিয়েই এবার বিপাকে সিব্বল। আইনজীবীদের ক্ষোভের মুখে পড়তে হল কপিল সিব্বলকে। সুপ্রিম কোর্টের ‘বার অ্যাসোসিয়েশনে’র সভাপতি হিসেবে এবার অনাস্থার মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা কপিল সিব্বলের। এমনকি ক্ষমা চাওয়ার কথাও বলা হচ্ছে বর্ষীয়ান আইনজীবী কপিল সিব্বলকে।
২১ অগস্ট আরজিকরের ঘটনা নিয়ে একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছেন সিব্বল। সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের লেটারহেডে সেই বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। সেখানে উল্লেখ করা হয়, “আরজিকরের ঘটনা অস্থির সময়ের ইঙ্গিত করে। সিবিআই ঘটনার তদন্ত করছে। আশা করি ন্যায়বিচার পাবেন নির্যাতিতা। শাস্তি হবে অভিযুক্তের। দেশে আগামী দিনে যাতে এই ধরনের ঘটনা না ঘটে সেটা নিশ্চিত করতে হবে সরকারকে।” ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “চিকিৎসকদের নিরাপত্তার স্বার্থে সুপ্রিম কোর্ট ঐতিহাসিক পদক্ষেপ করেছে।”
বার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যদের একাংশের বক্তব্য, আরজিকরের ঘটনা নিয়ে কোনও সদস্যের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই একতরফা একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছেন সিব্বল। নিজের ব্যক্তিগত মতামত তিনি প্রকাশ করেছেন বার অ্যাসোসিয়েশনের লেটারহেডে। ওই বিবৃতিতে আরজিকরের ঘটনাকে ছোট করে দেখানো হয়েছে বলেও দাবি আইনজীবীদের একাংশের।
তাছাড়া বলা হয়েছে, তিনি একাধারে দোষীদের শাস্তি চাইছেন আবার পশ্চিমবঙ্গ সরকারের হয়ে মামলা লড়ছেন, এতে স্বার্থের সংঘাতের তত্ত্বও দেখছেন অনেকে। সব মিলিয়ে বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি পদে বেশ চাপে সিব্বল।
আইনজীবীদের দাবি, সিব্বলের ওই বিবৃতিতে আরজি করের ধর্ষণ-কাণ্ডকে দেশের অন্যান্য প্রান্তের নারী নির্যাতনের ঘটনার সঙ্গে এক পংক্তিতে রেখে ঘটনার সরলীকরণ করা হয়েছে। আইনজীবীদের একাংশের বক্তব্য, এই ঘটনা শুধুমাত্র চিকিৎসকদের উদ্বেগের বিষয় নয়, দেশের প্রতি বাবা-মা, এমনকী বারের সব সদস্যেরও উদ্বেগের কারণ। এই বিবৃতিতে সেই ঘটনাকে ছোট করা হয়েছে।
সিনিয়র আইনজীবী তথা বার অ্যাসোসিয়েশনের প্রাক্তন সভাপতি ড. আদিশ সি আগরওয়াল সিব্বলকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ওই বিবৃতি প্রত্যাহার না করলে বারের সব সদস্যের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে কপিল সিব্বলকে। অন্যথায় সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি পদে সিব্বলের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হবে।