খাস ডেস্ক: সম্প্রতি এক আইনজীবীর গোপন ব্যবসার চক্রের পর্দাফাঁস করে পুলিশ। সম্প্রতি জেলার পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে একটি এফআইআর দায়ের করেছিল। ওই এফআইআর বাতিল করা এবং তাঁর ব্যবসায়িক(Sex Racket) কার্যক্রমে পুলিশের হস্তক্ষেপ প্রতিরোধের জন্য দুটি আবেদন করেছিলেন ওই আইনজীবী। পতিতালয় চালানোর জন্য এবার আদালতের সুরক্ষা চাইলেন ওই আইনজীবী।
অভিযুক্ত আইনজীবীর নাম অ্যাডভোকেট রাজা মুরুগান। তাঁর বিরুদ্ধে তামিলনাড়ুর কন্যাকুমারী জেলার একটি পতিতালয়(Sex Racket) চালানোর অভিযোগ রয়েছে। আদালতে মুরুগান দাবি করেন, তিনি পতিতালয় চালান না। ১৮ বছরের বেশি বয়সী ব্যক্তিদের জন্য তিনি সম্মতিমূলক যৌনতার ব্যবস্থা করে দেন। এছাড়া তাদের কাউন্সেলিং এবং থেরাপিউটিক তেল স্নানের মতো পরিষেবাও দেন। সুপ্রিম কোর্টের ‘বুধদেব মামলা’র উল্লেখও করেন তিনি।
তার জবাবে হাইকোর্ট জানিয়েছে, বুধদেব মামলার ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্ট যে রায় দিয়েছিল, তার প্রেক্ষাপট বুঝতে ভুল করেছেন মুরুগান। বুধদেব পাচার রোধ করেছিলেন এবং যৌনকর্মীদের পুনর্বাসন নিশ্চিত করেছিলেন। কিন্তু মুরুগান, দারিদ্র্যের সুযোগ নিয়ে নাবালিকা মেয়েদের শোষণ করেছেন। কাজেই দুই মামলার মধ্যে তুলনাই হয় না। মুরুগানের আবেদনে যারপরনাই বিরক্ত হন বিচারপতি বি পুগালেন্দি। এমনকি, মুরুগানের বার অ্যাসোসিয়েশনে তালিকাভুক্তির শংসাপত্র এবং আইন ডিগ্রিও দেখতে চান।
অন্যদিকে, প্রাপ্তবয়স্কদের সম্মতিমূলক যৌনতার অধিকার আছে। তাই তিনি কোনও অপরাধ করেননি বলে দাবি করেন ওই আইনজীবী। তাঁর আবেদন খারিজ করে হাইকোর্ট। অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাঁকে জানান, মুরুগান একজন বি-টেক স্নাতক এবং একটি তাঁর কাছে বার কাউন্সিলের পরিচয়পত্রও রয়েছে৷ তবে তিনি সত্যিই আইন পড়েছেন কিনা, তা যাচাই করার উপায় নেই। এরপরই বিচারপতি বি পুগালেন্দি বলেন, “বার কাউন্সিলকে বুঝতে হবে যে সমাজে আইনজীবীদের সুনাম কমছে। অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্ণাটক এবং অন্যান্য রাজ্যের অখ্যাত প্রতিষ্ঠান থেকে পাশ করে আইনজীবীরা বার কাউন্সিলে তালিকাভুক্ত হচ্ছেন। সদস্যদের শুধুমাত্র স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান থেকে নথিভুক্ত করাটা কাউন্সিলকে নিশ্চিত করতে হবে।”